আজকের শিরোনাম :

আমাদের অর্জন এবং ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

  সাইফ চৌধুরী

০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি হলে তরুণদের এক মিলনমেলায় আয়োজক প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। “তারুণ্যের সংলাপ” নামে আমার দেশ আমার ভাবনা এই স্লোগানে সাংস্কৃতিক সংগঠন দৃষ্টি চট্টগ্রাম এবং লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ৩১৫বি ৪ যৌথ আয়োজন করেছিল। নিঃসন্দেহে তরুণরাই আমাদের আগামীদিনের মানব সম্পদ। তরুণদের এখনো তারুণ্যদীপ্ত স্বপ্নে আমরা কল্পনা করি সম্ভাবনাময় টেকসই উন্নত বাংলাদেশের। আগামী ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তরুণদের মনে রয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা। আগামী নির্বাচনে নির্ধারিত হবে দেশ উন্নয়ন মহাসড়কে থাকবে নাকি পশ্চাদপদ হবে। নির্ধারিত হবে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সঙ্গী করে দেশ চলবে নাকি বিপরীত ধারার উন্মেষ ঘটবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে নাকি সংঘাত হানাহানির পথে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এবারের নির্বাচনে যেহেতু তারুণ্যনির্ভর তাই তরুণরাই ভোট “ট্রাম্প কার্ড” হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ দেশের মোট ভোটারের প্রায় ৩ কোটিরও অধিক ভোটার যাদের বয়স ১৮ বৎসরের উপরে ৩৫ বছরের নীচে। এদের মধ্যে আবার ১ কোটিরও বেশি ভোটার প্রথমবার ভোট দিবেন। কিন্তুু, যেসমস্ত ভোটারদেরকে আমরা “ট্রাম্প কার্ড” হিসেবে উল্লেখ করছি তাদের বেশির ভাগই বেকার কিংবা কর্মসংস্থানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয়। এত বড় কর্মসংস্থানকে সামনে রেখে জাতীয় নির্বাচনে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন তাদের জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ।

উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান শর্ত হচেছ কর্মসংস্থান। আর এ কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন শিল্পায়ন ও গতিশীল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। বিগত বছরগুলোয় দেশে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, চামড়া ও গার্মেন্টস শিল্প, ওষুধ শিল্প, সিমেন্ট ও ইস্পাত শিল্প, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, মানব সম্পদের উন্নয়ন, শিক্ষা, পদ্মা সেতু, জঙ্গীবাদমুক্ত বাংলাদেশসহ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি সাধিত হয়েছে কিন্তু আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান সে হারে হচ্ছে না। উল্টো আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের হার কমছে। প্রতি বছর দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করা শিক্ষিত তরুণ তরুণীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেকার থেকে যায় তাদের উপযোগী প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রের অভাবে। তাই সরকারকে দ্রুত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তা না হলে বড়ধরনের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হবে। আর বিপুল জনসংখ্যার এ দেশে কর্মসংস্থানের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো ছাড়া কোন বিকল্প নাই। সেজন্য বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা ও উৎসাহ দেয়া প্রয়োজন। কর অবকাশসহ ব্যবসার সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বিনিয়োগ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলেই এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে বিনিয়োগকারীরা। এ পরিস্থিতিতে শ্রমঘন শিল্পে অগ্রাধিকারমূলক বিনিয়োগ প্রয়োজন। অন্যদিকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদদের ব্যাংকিং বিষয়ে বেশ উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। আমরা আমাদের ব্যাংকিং খাতে অনেক বেশি পিছিয়ে আছি। ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে দিন দিন ঋণখেলাপির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচেছ আর এতে দেশের ভিতরে ও বাইরে নেতিবাচক ব্র্র্যান্ডিং তৈরি হচ্ছে। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বাধা প্রদান করছে। ঋণখেলাপিদের বিপক্ষে সরকারের আরো কঠিন মনোভাব পোষণ করার পাশাপাশি সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত। কারণ সবাইকে মনে রাখতে হবে দিন শেষে এই টাকা আপনার বা আমার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর ডাটাবেইজের সমীক্ষাসূত্র ধরে অর্থমন্ত্রী সংসদে জানান দেশে এই মূহূর্তে ঋণ খেলাপীর সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৪৮ যার পরিমাণ টাকায় প্রায় ১ হাজার ৩১৬ বিলিয়ন। এ পরিমাণ টানা ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাজেটের এক চতুর্থাংশ এ সমীক্ষা থেকে দেশের অর্থ খাতের বিশ্লেষকরা মনে করেন সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংকিং খাতে অতি দ্রুততম সময়ে সুশাসন ফিরিয়ে আনা উচিত এবং সেটা করতে না পারলে আমাদের ব্যাংকিং খাত আরো হুমকির মুখে পড়বে। এক্ষেত্রে যারা ঋণখেলাপের সঙ্গে জড়িত বা দেশের বাইরে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করেছেন তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারিক প্রক্রিয়ায় সম্মুখীন করা উচিত। জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে তা দ্রুত করা উচিত।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে আমাদের অগ্রগতি ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এখাতে আমাদের বিনিয়োগ অনেক বেশি। আমরা এখন প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। অল্প সময়ের মধ্যে তা ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। দেশে এখন লোডশেডিং নেই বললে চলে। কিন্তুু সমস্যা হলো, বিদ্যুৎ খাতে এখনো ভাড়া ও দ্রুত ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল পাশাপাশি আমরা গ্যাসের দিক থেকে পিছিয়ে আছি। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার থেকে শুরু করে বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উন্নয়ন ও সঞ্চালন লাইন আরো আধুনিক করতে হবে। আমরা এলএনজি গ্যাস টার্মিনাল করেছি। সেক্ষেত্রে আমাদের সঞ্চালন লাইন তৈরি করে জাতীয় গ্রিডে তা যুক্ত করতে হবে। আমাদের গ্যাস সমস্যার সমাধান হবে অনেকাংশে। এলএনজিনির্ভর পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির অনুমতি দিলেও নীতির অভাবে তা এগোচ্ছে না। বিনিয়োগকারীরা নীতির উপরই গুরুত্ব দেয় বেশি।

ওষুধ খাতে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। বেসরকারী খাতে অনেক হাসপাতাল হয়েছে। আমাদের তৈরি ওষুধ বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই বিশ্বাস। আমরা রেগুলেটেড বাজারে প্রবেশ করেছি। দেশের ২টি বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান (বেক্সিমকো ও স্কয়ার) যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাডমিনিস্ট্রশনের অনুমোদনও পেয়েছে। কিন্তুু চিকিৎসা ব্যবস্থার বাজে অবস্থার শিকার জনসংখ্যার একটা বড় অংশ। অপুষ্টিতে থাকা, ভুল চিকিৎসা, ভুল ডায়গোনিসস এর কারণে অনেকের অকাল মৃত্যু ঘটছে। এক্ষেত্রে গ্রামীণ চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ছোট ছোট হাসপাতাল করা যেতে পারে।

আমরা দারিদ্র্য বিমোচনে অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছি। মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ মানুষ এখন চরম দরিদ্র। এটা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এ সংখ্যাকে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। আমাদের আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। আয়ের পাশাপাশি ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিশ্বের এখন ৩৭তম অর্থনৈতিক শক্তি। এক্ষেত্রে মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে। এজন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে। বিশ্ব মন্দার মধ্যেও আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। স্থানীয় পণ্যের বাজার তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের জীবনমান বাড়ছে না।

মানবসম্পদ উন্নয়নে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। বছরের শুরুতে জানুয়ারীর প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এখন মান নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রাথমিক, উচ্চ শিক্ষা ও কারিগরী শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। শিক্ষায় বেসরকারী বিনিয়োগের পাশাপাশি সরকারী বিনিয়োগ আরো বাড়াতে হবে। আমরা এখনও কারিগরি শিক্ষা নিয়ে খুব একটা কাজ করতে পারিনি। সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। একমুখী শিক্ষা, শিক্ষকের মানোন্নয়ন সহ প্রভৃতি দিকে নজর দিতে হবে। শিক্ষকের মানোন্নয়নে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী আমেরিকা, ভারত ও চীনের সাহায্য চেয়েছেন। আমরা অনুধাবন করতে পারছি শিক্ষকের মানোন্নয়ন ছাড়া আমরা শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে পারবো না। প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি নিয়ে বেকার বসে আছে কিন্তু শিক্ষার পরিকল্পনা যদি ঢেলে সাজানো যেত তাহলে কারিগরী শিক্ষার প্রসার পেত এবং শিক্ষার্থীরা নিজেরাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারতো। অন্যদিকে শিল্পোৎপাদন বাড়াতে হবে। শিল্পোৎপাদন বাড়াতে আমাদের উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণ, শিক্ষা খাতে দুর্নীতি রোধ ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন করতে হবে।

চামড়া খাতে আমাদের রপ্তানি বেশ আগেই এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। অন্যদিকে পোশাক খাত উন্নতি করছে দ্রুত। এর ফলে বিদেশ থেকে ফরেন রেমিটেন্সও বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকগুণ। জাপান, ভারত, রাশিয়ার বাজারে গত ৪ মাসে মোট ৬৭ কোটি ২৮ লক্ষ ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে। এই শিল্পের নতুন বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর দিয়ে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেএমই এর সকল কর্মকর্তাবৃন্দ। চামড়া এবং পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের গুরুত্ব বিবেচনা করার কাজ চলছে তেমনি অন্যদিকে গ্রাহকদের পছন্দকে জোর দিতে হবে।

নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে আমাদের অসামান্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৬-২০১৭ অনুযায়ী কর্মক্ষম নারীর ৩৬.৩ শতাংশ কর্মে নিয়োজিত আর পুরুষের ৮২ শতাংশ। এই ৩৬.৩ শতাংশ কে যদি পুরুষের সমান করতে পারি বা ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে পারলে আমরা অনেক এগিয়ে যাব। নারীর শিক্ষা প্রসার ঘটাতে হবে এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নারীদেরকে কর্মমুখী করে তুলতে হবে এবং উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

আমাদের দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে টাকার লেনদেন তেমনি বেড়েছে গ্রাহক সেবার মান। কিন্তু আমরা স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও সুশাসন নিশ্চিত করতে পারিনি। আগে এতটা নজর না দিলেও এখন দিতে হবে। কেননা আমাদের বিদেশী বিনিয়োগ অনেক বেশি আসছে। সেক্ষেত্রে দুর্নীতি রোধ ও বিনিয়োগ কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে। আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছি। তবে শ্রমশক্তিকে কাজে লাগানো আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে আমাদের দেশের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে। প্রবৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে রপ্তানিমুখী শিল্পের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। একসময় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি ছিল বৈদেশিক ঋণ আর খয়রাতি সাহায্যের উপর। বর্তমানে উন্নয়ন বাজেটের ৮০ শতাংশই আসে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। তার উপর ভিত্তি করে দেশের প্রধানমন্ত্রী সাহস করে বলতে পেরেছেন পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে করবেন যা বর্তমানে দৃশ্যমান।

দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ কিংবা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রয়োগ করতে হবে আগামী নির্বাচনে ভোটাধিকারের মাধ্যমে। বর্তমান প্রজন্ম আগের যেকোন প্রজন্মের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন ও প্রজ্ঞাবান। তাদের বোকা ভাবা ঠিক হবে না। এই প্রজন্মের নতুন ভোটারদের হাতে দেশের আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। (দৈনিক আজাদী থেকে নেয়া)

লেখক : প্রাবন্ধিক, সংস্কৃতি সংগঠক

এই বিভাগের আরো সংবাদ