আজকের শিরোনাম :

'Dhaka literature ' এর জয়যাত্রা অমর হোক

  মুন্নী সাহা

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:১০ | অনলাইন সংস্করণ

যে কাজটা  আসলে সে করে... মানে প্রফেশন, সেই এ্যাড এজেন্সির ব্যবসাটাও যদি ঠিকঠাক করতো, ভালোবেসে করতো -- তাহলে নি:সন্দেহে বাংলাদেশের সেরা বিজ্ঞাপনী সংস্থার এমডি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারতো।কারন ৩০ বছর আগে সেরা ক্রিয়েটিভ রাইটার হিসেবেই তাপসদার শুরুটা ছিলো। 

নিজের ছোটোখাটো ব্যবসাটা করতে করতে, কত অদ্ভুত অদ্ভুত কাজ নামে কান্ড করতে গেছে তার ২/১ টা না বললে নয়। হঠাৎ তাপসদা চলে গেছে ঈশ্বরদি। পুরান লোহার পুল এর লোহা লক্কর কিনতে, আরেকবার কক্সবাজারে রাস্তার পাশে চাউলের রুটির দোকান করার ভূত চাপলো, বিল্ডিং বানানোর ঠিকাদার হবে--- দৌড়ালো কিছুদিন। চীনদেশ চষে ফেলেছে গিফট আইটেম আনবে, আলুর চিপসের ব্যবসা,  দে দৌড়... উফ্!! গত ৩০ বছরে আমি ৩০০ প্রজেক্ট নিয়ে ঘুড়তে দেখেছি, প্রত্যেকটাতে গড়ে ১৫ /২০ দিন করে। এসব করার লোক না তাপসদা।  সে কারনে যখনই যেটা আগেভাগে শুনতাম ভবিষ্যৎ বানী করে ফেলতাম। তা ফলেছেও। 

কবিতা লেখা, সাহিত্য করা, পড়া এসব তার একান্ত গোপন ব্যাপার। সেটা নিয়ে দৌঁড়ায়নি। বরং কবিতা- সাহিত্য এসব নিয়ে আমি যেন কোনো নেগেটিভ মন্তব্য না করতে পারি, সেজন্যে এ ব্যাপারটা বরাবরই আমার কাছে লুকোছাপা করে। আমি যে পোড়ারমুখী!  অস্থিরচিত্ত কবীর হোসেন তাপসকে যেটাই হুশিয়ার করি, সেটাই লেগে যায়! 

তাপসদার প্রিয় দুই বন্ধু---  আব্দুর রব, আর রেজাউদ্দিন  স্ট্যালিনও বাংলাভাষার কবিতা- সাহিত্য নিয়ে দ্বিভাষী একটি পত্রিকা প্রকাশের ষড়যন্ত্র (!) টা বেশ যত্ন করেই চেপে রেখেছে। তিনবন্ধুর সম্পাদনায় দারুন এক উদ্যোগের সেমি- ঘরোয়া অনুষ্ঠানে গিয়ে রীতিমত বিস্মিত!  এ যাত্রা আবার কী বলি, সেই ভয় চোখেই হাতে মাইক্রোফোনটা তুলে দিলো তাপসদা। বলতে ইচ্ছা করছিলো--- "তাপসদা কবিই হতে চেয়েছিলো, এটাই  হওয়ার কথা ছিলো"!  

ওভাবে বলাটা ঠিক আমার মত শোনায় না, মানে ' টম এন্ড জেরি' গিরি হয়না তাপসদার সাথে। 

তাই বললাম, 'Dhaka literature ' এর জয়যাত্রা অমর হোক।

 

(ফেসবুক থেকে সংগৃহিত।)

এই বিভাগের আরো সংবাদ