আজকের শিরোনাম :

করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা ও আমাদের করণীয়

  মোশাররফ হোসেন ভূঁঁইয়া

২৫ জুলাই ২০২১, ০৯:৪৩ | আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২১, ১০:১১ | অনলাইন সংস্করণ

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও সার্বিক সাক্ষরতা উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা বরাবরই সন্তোষজনক বলে বিবেচনা করা যায়। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণ করেন এবং শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের ব্যবস্থা করেন। গত শতকের নব্বই দশকে দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু হলে ১৯৯২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন শুরু হয়। মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি চালুর ফলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রমও চালু হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আগের সরকারি উদ্যোগে নতুন মাত্রা যোগ হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পুস্তক বিতরণ নিয়মিত ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হয়। উপবৃত্তির পরিমাণ ও কলেবর বাড়ানো হয়। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের প্রচেষ্টা নেয়া হয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে সরকারি বাজেট বরাদ্দ থেকে শতভাগ বেতন প্রদানের ব্যবস্থা বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশে আছে কিনা আমার জানা নেই। উচ্চশিক্ষা উন্নয়নে নানা প্রকল্প চলমান রয়েছে।

সরকারি নানা ব্যবস্থা এবং আর্থিক ও নীতিসহায়তার ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে এবং দেশের সার্বিক শিক্ষিতের হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সারা বিশ্বে নভেল করোনাভাইরাস ছাড়িয়ে পড়ার পর ৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশেও এ রোগের বিস্তৃতি শুরু হয়। দেশে লকডাউন, সরকারি ছুটি এবং নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে ২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হলেও এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করে দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা না নিয়ে এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিক্তিতে মূল্যায়ন করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীতে অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে সীমিত মূল্যায়ন ও পূর্ববর্তী শ্রেণীর ফলাফলের ভিত্তিতে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারিত হয়। কলেজ ও বিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন ক্লাস চালু হলেও সব স্তরের ছাত্রছাত্রী এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেনি। বিশেষ করে গ্রামের স্কুলগুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থী প্রয়োজনীয় ডিজিটাল সুবিধার অভাবে অনলাইন সুবিধা গ্রহণ করতে পারছে না। গ্রামের অভিভাবকরাও এ বিষয়ে সচেতন নন।

জীবন ও জীবিকার তাগিদে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় কলকারখানা স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে চালু রাখা হয়। গ্রামীণ কৃষিকাজের ওপর সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কৃষি উত্পাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়।

কিন্তু শিশুদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিষয়টি অতিসংবেদনশীল বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বা সীমিত পরিসরে চালু করার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। বলতে গেলে করোনা মহামারী আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত করেছে। আশা করা হয়েছিল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার চার মাস কি ছয় মাস পর আবার চালু করে দেয়া সম্ভব হবে। কিন্তু সেরূপ অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ পর্যন্ত বাংলাদেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। জনসংখ্যার তুলনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা মারাত্মক ছিল না। যদিও গত মধ্য জুন থেকে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হলে দৈনিক মৃত্যু দুইশ অতিক্রম করেছে। গ্রামাঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছিল না বললেই চলে। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিত হওয়ার পর গ্রামাঞ্চলেও রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ বা চালু রাখার বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পাই, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই একটি নির্দিষ্ট বিরতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে, কিংবা সব সময়ই আংশিক চালু রেখেছে। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকায়ও মহামারী শুরুর চার-ছয় মাস পরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে।

উন্নত দেশগুলোয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা হচ্ছে। করোনার প্রকোপ অনেকটা কমে আসায় আসন্ন সেপ্টেম্বর সেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পুরোদমে শারীরিক উপস্থিতিতে চালু হয়ে যাবে। জার্মানিতে অবশ্য এরই মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই খুলে গেছে। করোনার তীব্র প্রকোপ ও সংক্রমণের সময়ও কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ছিল। শুধু সম্পূর্ণ লকডাউনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ থাকে। স্বাস্থ্যবিধি পালন সাপেক্ষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোও পালাক্রমে অর্ধেক ছাত্রছাত্রী নিয়ে চালু ছিল।

সারা বিশ্বে মহামারীর ধরন পর্যালোচনায় দেখা যায় এটি মধ্য ও অধিক বয়সী ব্যক্তির মধ্যেই ছাড়িয়েছে বেশি। যুবকদের মধ্যে তুলনামূলক কম, শিশুদের মধ্যে খুবই কম ছড়িয়েছে। সে বিবেচনায় আমাদের দেশেও নির্দিষ্ট বিরতিতে অন্তত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রাখা যেত। এত দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একেবারে বন্ধ থাকায় শিক্ষার গুণগতমান নষ্ট হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি ক্লাসে শিক্ষক শুধু পাঠদানই করেন না, ছাত্রদের কাছ থেকে পড়া আদায়ও করেন। সব ছাত্রের মেধা একরকম নয়। কারো কারো প্রতি শিক্ষকদের বিশেষ নজর দিতে হয়। ক্লাসে ছাত্ররা পরস্পর আলোচনা করেও অনেক কিছু শেখে। এছাড়া লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চাও হয়। অনলাইন ক্লাসের সুযোগ থাকলেও এটি শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে শিক্ষালাভের সমপর্যায়ের নয়।

গ্রামের স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় অনেক ছাত্রছাত্রীর লেখাপড়াই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারীর সময় সংসারের আয় কমে যাওয়ায় অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের শিল্প-কারখানায় কাজে পাঠাচ্ছেন। কৃষি কাজে বা নিজের ক্ষুদ্র ব্যবসায় নিয়োজিত করছেন। অনেক মেয়ে শিক্ষার্থীর অপরিণত বয়সে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। গ্রামের স্কুলগুলো পুনরায় খোলার পর বোঝা যাবে কতসংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। স্কুলের বন্ধুবান্ধব ও খেলাধুলার পরিবেশ হারিয়ে বাসায় অবস্থান করে অনেক ছাত্রছাত্রী নানা হতাশায় ভুগছে। শহরের ছেলেমেয়েরা স্মার্টফোনে ইউটিউবে প্রাপ্ত নানা নিষিদ্ধ ভিডিও কিংবা ছবি দেখে বিপথে/কুপথে চলে যাচ্ছে। আবার হতাশায় অনেক শিশু-কিশোরের মনোবৈকল্য দেখা দিচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে করোনা মহামারীতে আক্রান্ত হওয়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আমাদের সন্তানদের এর চেয়ে বেশি ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের কিছু অভিভাবকও শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছাত্ররা মাঠে যাচ্ছে, বাজারে যাচ্ছে, কোনো না কোনো কাজে যাচ্ছে, মাঠে খেলা করছে, শুধু স্কুলে যাচ্ছে না।

জাতিসংঘের ইউনিসেফ ও ইউনেস্কো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা বলেছে। বিশ্বের ২২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ মাত্র ১৯টি দেশ করোনা মহামারী দেখা দেয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে। আমাদের দেশের অনেক অভিভাবক ও শিক্ষাবিদ স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছেন। আমার মতে, বর্তমান ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা কমে এলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে যে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও নম্বরে তিনটি ইলেকটিভ বিষয়ের পরীক্ষা নিয়ে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। বাংলা, ইংরেজি ও অংকের মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোর কোনো পরীক্ষা হবে না। শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে গৃহীত অ্যাসাইনমেন্ট কিংবা এইচএসসির ক্ষেত্রে এসএসসির প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। এটি কোনো সুবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে অনেকের ধারণা। পাবলিক পরীক্ষায় এ নিয়মে পরীক্ষা নিয়ে প্রায় শতভাগ পাস করিয়ে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়া হচ্ছে। সংক্ষিপ্ত নম্বর ও সিলেবাস হলেও আবশ্যিক বিষয়গুলো পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা বাঞ্ছনীয়।

১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর দুটি এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে ৩০০ নম্বরের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। সেখানে আবশ্যিক বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। পাসের হার ছিল নব্বই শতাংশের ওপর। ওই পরীক্ষাসমূহে পাস করেও ছাত্রছাত্রীরা কলেজে ভর্তি ও পরবর্তী সময়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এবার আসন্ন পরীক্ষায় আবশ্যিক বিষয়গুলোও যদি না থাকে তবে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও মেধার ক্ষেত্রে নানা প্রশ্ন উঠতে পারে। শিক্ষার্থীরাও এক ধরনের হীনম্মন্যতায় ভুগবে। এইচএসসি পাস করার পর অনেকে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করবে। সেক্ষেত্রে আমাদের পাবলিক পরীক্ষার মান নিয়ে যদি প্রশ্ন তোলা হয় এবং তা গ্রহণযোগ্য না হয় (আশা রাখি এমন প্রশ্ন হয়তো উঠবে না) তবে এটি হবে আরো বড় বিপর্যয়, যার প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। তবে প্রশ্ন তোলাই স্বাভাবিক, কারণ ইউরোপ-আমেরিকার শিক্ষা ব্যবস্থায় করোনাকালেও পাবলিক পরীক্ষাগুলো পূর্ণ সিলেবাসে শারীরিক উপস্থিতিতে গ্রহণ করে ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা প্রয়োজন।

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা মন্তব্য দেখা যাচ্ছে। যেমন, ‘যদি পঞ্চাশ জন গেস্ট নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান চলতে পারে তবে এর চেয়ে কমসংখ্যক ছাত্র নিয়ে ক্লাস চলতে পারে না কেন?’ ‘দেশের কলকারখানা, হাট-বাজার, অফিস সবই চলে শুধু স্কুল-কলেজ বন্ধ’...ইত্যাদি।

আমি বলছি না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনই খুলে দেয়া যায়। লকডাউন উঠে গেলে, করোনার তৃতীয় ঢেউ অনেকটা সামলাতে পারলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে খোলার চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। যতদিন করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে না আসবে ছাত্ররা পালাক্রমে সপ্তাহে দুদিন ক্লাসে আসুক। বাকি সময় বাড়িতে পড়বে। স্কুলে এসে পরীক্ষা দেবে। শিক্ষকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নেবেন, পরীক্ষা নেবেন। এতে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।

সর্বোপরি দেশের করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে সব বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে।

দেশের শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার আগেও প্রশ্ন ছিল, এখন তো কথাই নেই। এ অবস্থায় দেশের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত অভিজ্ঞ সরকারি কর্মকর্তাসহ সবার সঙ্গে পরামর্শ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, পাঠদান, পরীক্ষা নেয়া ইত্যাদি বিষয়ে বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।

লেখক: সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমানে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

সৌজন্যে: দৈনিক বণিক বার্তা

এই বিভাগের আরো সংবাদ