আজকের শিরোনাম :

১৯৭৮ তথা ১৩৭১: রমনা বটমূল দখলে বাজাদল

  জাফর ওয়াজেদ

১৫ এপ্রিল ২০২১, ১৪:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ

লেখকের ফেসবুক হতে সংগৃহিত
১৯৭২ হতে ১৯৭৫তক রমনায়  ছায়ানটের অনুষ্ঠান বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বিটিভি সরাসরি সম্প্রচার করে।পটপরিবর্তনের পর পরিবেশ বদলে যায়। জেনারেল জিয়ার হারমোনিয়াম-তবলা বিরোধীচেতনাধারী বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ নামধারীরা্ রমনা বটমূল দখল করে।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল  যাকে সেসময়  সংবাদপত্রে লেখা হত বাজাদল(দলনেতা সাত্তার তাই ছিলেন)।

ছায়ানট পয়লা বৈশাখ ভোরে অনুষ্ঠান করে, তাই চৈত্রশেষের রাত বারোটায় অনুষ্ঠান করে  দিশারী হতে নামে ওরা।বটমূলেই সোফা-গদি-চেযার-টেয়ার সাজিয়ে রাতভর গলাবাজি আর ব্যান্ডগান বাজায়। সেখানে দোকানপাট বসায় মেলার নামে। 

সে বছর ঝালমুড়ির  ঠোঙা,বাদামের খোসা ইত্রাদি ছড়ানো বাসি বাসি চেহারার মাঠে ছাযানটের অনুষ্ঠান হয়। বিশ্ববিদ্যালযের বাঙলা বিভাগের ছাত্ররা ভলান্টিয়ার হয়ে যতোটা পেরেছি সাফ-সুতরো করেছি। ১৯৭৯সালে তথা ১৩৭২সনেঅনুষ্ঠান শুরুর ক’দিন অাগে জাসাসবাহিনীর এক নেতার কাছে গেলেন ছায়ানট কর্তারা।

শুনে তিনি বললেন- “আমাদের ছেলেগুলো কী যে চমতকার! আপনার ছেলেরা আবার ওদের মারবে-টারবে নাতো।” যেন ছায়ানট গান নয়, মারদাঙ্গা শেখায়।তখন তারা গেলেন বাজাদল নেতা ডা, বি চৌধুরীর কাছে।খুব তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকিয়ে চাঁছাছোলা গলায় বললেন “গোলমার হবার কোন কারণ নেই। ওরা রাতে করবে, আপনারা সকালে।” সে বছর ছাযানটের মন্চের পাশে উঠল তাদের জগদ্দল চেহারার মঞ্চ। লোকজন জায়গাই পায় না। দুটো মন্চের পর কতটুকুেই আর জায়গা। তামাশা দেখার ভাব নিয়ে গাছের উপর উঠল অনেক লোক। মঞ্চের উপর ছুঁড়ে ফেলল মরা কাক। অর কিছুক্ষণ পরে মোড়ের বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে তার বিচ্ছিন্ন করে দিল বাজাদল।। মাইক্রোফোন বেকার।জেনারেটর চালূ করতে সময় নেয়।

বিশৃঙ্খলা স্পষ্ট।চিত্র পরিচালক শব্দষৈনিক আলমগীর কবির সাহসের সাথে মোকাবেলা করেন। তিনি অনুষ্ঠান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।সে সময়গুলোতে আমরা দল বেঁধে অনুষ্ঠানে যেতাম। কতিপয় সংবাদপত্র এর বিরোধিতা করত। যেমনটা বিএনপি-জামাতরা করে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ