ঢাকায় কাশিমবাজার কুঠি কি স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়েছে?
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১৩:৪৩
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, ১৪ আগস্ট, এবিনিউজ : বাংলাদেশের ইতিহাসে সেই সিরাজউদ্দৌলার আমল থেকে দেখছি, একই নাটকের একাধিকবার পুনরভিনয়। নাটকটির নাম দেওয়া যেতে পারে ‘কাশিমবাজার কুঠি’। সিরাজউদ্দৌলার আমলে এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে তৎকালীন সুবে বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদের কাছে কাশিমবাজারে। ২০০ বছর পর তার মঞ্চায়ন দেখেছি স্বাধীন বাংলার রাজধানী ঢাকায়। বারবার মঞ্চায়নের ফলে নাটকটি ট্র্যাজেডি থেকে প্রহসনমূলক হয়ে উঠেছে বলে মনে হয়।
সম্ভবত মন্তব্যটি শেকসপিয়ারের, ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি প্রথমে ঘটায় ট্র্যাজেডি। তারপর তা প্রহসনে (ভধৎপব) পরিণত হয়।’ শেকসপিয়ারের এই মন্তব্যের সত্যতা এখন বাংলাদেশে দেখছি। ১৭৫৭ সালে কাশিমবাজার ষড়যন্ত্র থেকে যে পলাশীর যুদ্ধ হয়, তাতে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের মৃত্যু হয়। বাংলার স্বাধীনতাও অপহৃত হয়। প্রায় ২০০ বছর পর ১৯৭৫ সালে এই কাশিমবাজার কুঠি স্থানান্তরিত হয় ঢাকায়। নাটকের মঞ্চে যবনিকা নেমে আসে ১৫ই আগস্ট প্রত্যুষে। স্বাধীন বাংলার জনকের নৃশংস হত্যার মধ্যে একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি ঘটে। এর ৪৩ বছর পর আবার ঢাকায় কাশিমবাজার কুঠি নাটকের নতুন মঞ্চায়নের চেষ্টা চলছে বলে মনে হয়। কিন্তু এর যবনিকার দৃশ্য প্রহসনের দিকে এগোচ্ছে।
তবে মাত্র সাড়ে চার দশকের মধ্যে নাটকটি আরো দুইবার ঢাকায় মঞ্চায়নের চেষ্টা হওয়ায় মনে প্রশ্ন জেগেছে, নবাবি আমলের কাশিমবাজার কুঠি কি এখন স্থায়ীভাবে ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে? এই নাটকের কুশীলব ৪৩ বছর আগে যাঁরা ছিলেন তাঁরা এখন নেই। নতুন কুশীলবরা এসেছেন। তাঁরা নামে নতুন হলেও চরিত্রে ও উদ্দেশ্যে অভিন্ন।
নবাবি আমল থেকে এ পর্যন্ত এ নাটকের অভিনয়ে কিছু দৃশ্যের বিস্ময়কর অভিন্নতা দেখা যায়। কাশিমবাজার কুঠিতে নবাবকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের গোপন বৈঠক হতো। এতে নবাবের সেনাপতি মীরজাফর থেকে নবাবের অনেক অমাত্য এবং জগেশঠের নেতৃত্বে অসাধু ব্যবসায়ীরা যোগ দিত। এই বৈঠকে চক্রান্তকারীদের সাহায্যদাতা ও উপদেষ্টা রবার্ট ক্লাইভ খুব গোপনে আসতেন। তিনি তখন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির হর্তাকর্তা এবং নবাবের সভায় ব্রিটিশ রাজদূত।
ক্লাইভই ছিলেন এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রধান মন্ত্রণাদাতা। নবাবের গোয়েন্দারা যাতে টের না পায় সে জন্য তিনি কখনো ছদ্মবেশে, কখনো নারীবেশে পালকিতে চড়ে এই বৈঠকে আসতেন। নগরীর দ্বাররক্ষীরা কখনো এই পালকি আটকালে তাদের বলা হতো সিপাহসালার মীরজাফর আলী খাঁর পরিবারের জেনানারা এই পালকিতে আছেন। প্রহরীরা এই পালকি ছেড়ে দিত। তা সত্ত্বেও রবার্ট ক্লাইভের এভাবে গোপনে গোপন বৈঠকে আসার খবর নবাব সিরাজউদ্দৌলার কানে পৌঁছেছিল।
তিনি মীরজাফরকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন এবং এই গোপন বৈঠকের সত্যতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। এই জিজ্ঞাসাবাদের বিবরণ আছে পরবর্তীকালে লেখা শচীন সেনগুপ্তের ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে। দরবারে এসে সেনাপতি মীরজাফর নবাবের সামনে দাঁড়িয়েছেন। সিরাজউদ্দৌলা তাঁর মাথার উষ্ণীষ মীরজাফরের পায়ের কাছে রেখে বলছেন, ‘মীরজাফর আলী খাঁ, আপনি শুধু আমার সিপাহসালার নন, আমার সম্মানিত আত্মীয়ও। আপনি যদি বাংলার নবাবি চান, এই রইল আপনার পায়ের কাছে সেই মুকুট। আপনি নবাব হোন। তথাপি বিশ্বাসঘাতক ইংরেজ বণিকদের ষড়যন্ত্রে শরিক হবেন না। বাংলার স্বাধীনতা ধ্বংস করবেন না।’ মীরজাফর কোরআন হাতে শপথ গ্রহণ করে বলেছেন, ‘নবাব, আমি কোরআন হাতে শপথ গ্রহণ করে বলছি, আমি শয়তান ইংরেজদের ষড়যন্ত্রে নেই, কখনো থাকব না। আমি নবাবের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত।’ নবাব এই বিশ্বাসঘাতকের কথা বিশ্বাস করেছিলেন। তার পরিণতি পলাশীর যুদ্ধের প্রহসন। নবাবের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড।
এর প্রায় ২০০ বছর পর ঢাকার আগামসি লেনে খন্দকার মোশতাক আহমদের বাসভবনে কাশিমবাজার কুঠি স্থানান্তরিত হয়। এবারের নাটকের কুশীলব মীরজাফরের ভূমিকায় খন্দকার মোশতাক, ব্রিটিশ দূত রবার্ট ক্লাইভের ভূমিকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বোস্টার এবং বঙ্গবন্ধুর কয়েকজন বিশ্বস্ত সহযোগী, যাঁরা দিনে বঙ্গবন্ধুর কাছে তাঁদের আনুগত্য জানাতেন আর গভীর রাতে খন্দকার মোশতাকের কুঠিতে এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র পাকাতেন। বিস্ময়ের কথা, পরে জানা গেছে, এই বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বোস্টার একটি পতাকাবিহীন কালো গাড়িতে আসতেন। কখনো কখনো তিনি বোরকা পরে নারীবেশে আসতেন।
এখন তো বঙ্গবন্ধু হত্যায় সিআইএর ষড়যন্ত্র এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত বোস্টারের ভূমিকা ইতিহাস। কিছুকাল আগে মৃত্যুর আগে তিনি মার্কিন সাংবাদিক লিফত্সুলজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে তাঁর এবং সিআইএর ষড়যন্ত্রের ইতিহাস বর্ণনা করে গেছেন। আমি আমার ‘পলাশী থেকে ধানমণ্ডি’ নাটকে খন্দকার মোশতাকের বাড়িতে গোপন বৈঠকে ছদ্মবেশে বোস্টারের যোগদানের একটি দৃশ্যও রেখেছি। দৃশ্যটি সংযোজনের সময় ভেবেছি, ঢাকায় যদি আবার কাশিমবাজার কুঠি নাটকের মঞ্চায়নের চেষ্টা হয়, তা কি শেকসপিয়ারের উক্তি মোতাবেক ফার্স বা প্রহসনে পরিণত হবে? বিস্ময়ের কথা, ইতিহাসের এই পুনরাবৃত্তিতে (১৯৭৫) প্রথম চরম ট্র্যাজেডি ঘটে। এর পরবর্তী দুটি পুনরাবৃত্তিই চরম প্রহসনে পরিণত হয়েছে।
এর মধ্যে একটি ঘটে কয়েক বছর আগে মাহমুদুর রহমান নামে এক তথাকথিত সাংবাদিক বা ‘হঠাৎ সম্পাদকের’ উত্তরার বাসায়। এটি ‘উত্তরা ষড়যন্ত্র’ নামে পরিচিত। এই গোপন বৈঠকে বিএনপির অনুগত এক দল উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে জড়ো করে আওয়ামী লীগ যাতে আর ক্ষমতায় আসতে না পারে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্ব উচ্ছেদের জন্য গোপন পরিকল্পনা তৈরি করার চেষ্টা হয়। কিন্তু এবার এই বৈঠকের কথা ফাঁস হয়ে যায় এবং তা প্রহসনে পরিণত হয়।
আমার একটি ধারণা, (সঠিক কি বেঠিক তা এখন বলতে পারব না, ভবিষ্যতেই জানা যাবে) সুজন নামে বিতর্কিত সংস্থার বিতর্কিত সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বাসভবনে অতি সম্প্রতি কাশিমবাজার কুঠি নাটকটি আবারও মঞ্চায়নের চেষ্টা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত এটিও প্রহসনে পরিণত হয়েছে। আত্মসাফাইয়ের জন্য ড. মজুমদারকে সংবাদপত্রে একটি বিবৃতি দিতে হয়েছে। এই নৈশ বৈঠকের বিশেষত্ব তাতে বর্তমান মার্কিন দূত মার্শা বার্নিকাট হাজির হয়েছিলেন এবং বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক দল লোকের দ্বারা তাঁর গাড়ি আক্রান্ত হয়েছিল।
বিদেশি দূতের গাড়িতে এই হামলা যারাই করে থাকুক, তা নিন্দনীয়। সেই প্রাচীনকাল থেকে একটি প্রচলিত কূটনৈতিক নিয়ম হলো ‘দূত অবধ্য’। প্রাচীনকাল থেকে পালিত এই নিয়ম যারা ভাঙতে চেয়েছে তাদের শাস্তি হওয়া অবশ্যই উচিত। কিন্তু মজুমদার সাহেবের বাসায় নিশীথ রাতে দাওয়াত খেতে আসার ব্যাপারে মার্কিন রাষ্ট্রদূতেরও একটা দায়িত্ব ছিল।
বাংলাদেশে আজ নয়, দেশটি স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই তাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার জন্য আমেরিকা দেশটিতে খুব জনপ্রিয় নয়। এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বোস্টারের ভূমিকা, ২০০১ সালে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে তখনকার রাষ্ট্রদূত মেরি অ্যান পিটার্সের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, তার পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো, কূটনৈতিক অধিকারের সীমা লঙ্ঘন করে কথাবার্তা বলা বাংলার মানুষ পছন্দ করেনি। বর্তমান রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটও তাঁর অধিকারের সীমা ডিঙিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে এমন সব কথাবার্তা বলেছেন, যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এখন বিএনপি অফিসে পরিণত হয়েছে।’
মার্শা বার্নিকাট কচি খুকি নন যে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাঁর অবস্থান তিনি জানেন না। ঢাকায় তাঁর কার্যকালও শেষ। ঠিক এই সময় তিনি যাঁর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেছেন, তিনি প্রচণ্ডভাবে হাসিনাবিদ্বেষী একটি তথাকথিত সুধীসমাজের অন্যতম নেতা। তাঁর সুজন নামক সংস্থাটিও বিতর্কিত। ঢাকা শহরেও তখন ছাত্র আন্দোলনের অস্থিরতা চলছে। দেশটির স্বাভাবিক সময়েও বিদেশি দূতরা কোনো স্থানে যেতে হলে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ বা থানায় জানিয়ে যান। কিন্তু মার্শা বার্নিকাট তা যেমন মোহাম্মদপুর থানা কর্তৃপক্ষকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি, তেমনি মনে করেননি সুজন নেতা মজুমদার সাহেবও। তিনি প্রচলিত নিয়মটি, যা বিদেশি দূতদের নিরাপত্তার জন্য মেনে চলা দরকার, তা ভঙ্গ করে ব্যাপারটা গোপন রাখলেন কেন?
মজুমদার সাহেবের নৈশভোজে আমন্ত্রিত হয়ে আর যাঁরা গিয়েছিলেন, তিনি আত্মসাফাইয়ের বিবৃতিতে তাঁদের নাম প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁরা হলেন সবাই প্রচণ্ডভাবে হাসিনাবিদ্বেষী মুখচেনা ব্যক্তি। যেমন—ড. কামাল হোসেন, তাঁর স্ত্রী হামিদা হোসেন, সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান।
আমার কানে গুজব এসেছে এই নিশীথ রাতের ভোজসভায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামেরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন কি না আমার জানা নেই। তাঁরা না এসে থাকলেও আওয়ামী লীগবিদ্বেষী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে একইভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনাকারী মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই নৈশভোজ সভা গোপন শলাপরামর্শের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল বলে কেউ সন্দেহ করে থাকলে তাকে কি খুব দোষ দেওয়া যাবে? মজুমদার সাহেব ও তাঁর সুজনও কি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি সুযোগ পেলেই বিরূপ মনোভাব দেখায় না?
আমার আরো একটি ধারণা, আওয়ামী লীগ সরকারকে সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র দ্বারা উৎখাত করতে না পেরে বিএনপি ও জামায়াত জোট এখন একটি নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে। সেই কৌশলটি হলো ভারত ও আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো সম্পর্ক নষ্ট করে এই প্রভাবশালী রাষ্ট্র দুটির সমর্থন ও সহায়তায় ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করা। এই উদ্দেশ্যে ঢাকায় ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিএনপি তার সন্ত্রাসী ক্যাডারদের দ্বারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা চালিয়ে এই হামলা আওয়ামী লীগের সমর্থকরাই চালিয়েছে বলে প্রচার করে যদি হাসিনা সরকারের সঙ্গে আমেরিকার একটা বিবাদ বাধানো যায়, তাহলে মন্দ কি?
যা হোক, বিএনপি-জামায়াত এবং তথাকথিত ‘সুশীল-সুজন’ সমাজের নেতারা এটা আশা করে থাকলেও যে বিফল মনোরথ হবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই, ট্রাম্প প্রশাসন হিলারি প্রশাসন নয়। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও এখন সুদূর দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তাঁর টার্গেট এখন ইরান এবং আমেরিকায় আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে নিজের জান বাঁচানো। না হলে ইরান ও নিজের ঘোষিত ট্রেড ওয়্যারের সমস্যা তো আছেই, গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর রাশিয়ান কানেকশন নিয়েও অভিযোগটি তাঁকে গ্রাস করতে পারে।
চারদিকের শতমুখ ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ যদি দ্রুত ঘর গোছাতে পারে, তাহলে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের ধকল দলটি এবং সরকারও কাটিয়ে উঠতে পারে। ঢাকায় কাশিমবাজার কুঠি নাটকের সাম্প্রতিক মঞ্চায়নচেষ্টাও যে ব্যর্থ প্রহসনে পরিণত হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। (কালের কণ্ঠ থেকে সংগৃহীত)
লন্ডন, রবিবার, ১২ আগস্ট ২০১৮
এই বিভাগের আরো সংবাদ