আজকের শিরোনাম :

২৫ নভেম্বর জাতীয় ডিপ্লোমা শিক্ষা দিবস

ভিশন-২০৭১: দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুক ডিপ্লোমা পেশাজীবিরা

  খন রঞ্জন রায়

২১ নভেম্বর ২০২০, ১৭:০৮ | আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২০, ১৭:১৩ | অনলাইন সংস্করণ

খন রঞ্জন রায়
এই শতাব্দীতে আমাদের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্ণ হবে। ক্ষণটি হবে ২০৭১ সালের ২৬ মার্চ। স্বাধীনতার একশতবর্ষ উদযাপন অত্যান্ত জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপিত হবে এটা নিঃসন্দেহে আমরা আশা করতে পারি। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও আমাদের প্রত্যাশিত কাক্সিক্ষত উন্নয়নের বাধা আর কারণগুলো শনাক্ত করে পরিকল্পনামাফিক এগুতে পারলে সম্ভাবনার এই দেশটি পিছিয়ে থাকবে না। 

অন্ন বস্ত্রের পরই মানুষের বাসস্থান। ২০৭১ সালে এদেশের লোকসংখ্যা হবে ৪০ কোটি। স্বপ্নের কাক্সিক্ষত ভিশন ৭১ বাস্তবায়ন করতে হলে অন্তত ১৫ কোটি মানুষকে বিদেশে স্থায়ী নিবাস গড়ে তোলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বাকি ২৫ কোটি লোককে ৫৬ হাজার বর্গমাইলে ক্ষুদ্র জায়গায় বাসস্থানের বন্ধোবস্ত করতে হবে। ছায়াহীন মানুষের অন্তহীন মিছিল বন্ধ করতে হলে বাড়ীঘর নির্মাণে দীর্ঘ-প্রস্থ নীতি পরিত্যাগ করে প্রকৃতির সাথে বিজ্ঞানের সমন্নয় ঘটাতে উর্দ্ধমুখী নীতি গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি গ্রামে ৪ ইউনিটের ৬ তলা বিশিষ্ট ১০টি দালান নির্মাণ করতে হবে। মোট ৪x৬x১০ = ২৪০ টি ফ্ল্যাটের ছাদে, বারান্দায়, করিডোরে বৈজ্ঞানিক উপায়ে বাগান তৈরি করতে হবে। কৃষিকাজের সুবিধা প্রসারিত হয় মানসম্মত হয়, প্রয়োজনমাফিক হয় তা মাথায় রাখতে হবে। 

শিক্ষাই জাতির মেরুদ-। প্রাথমিক শিক্ষা হলো শিক্ষার ভীত। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রযুক্তিজ্ঞানহীন শিক্ষকের কারণে শিক্ষার অগ্রগতি হচ্ছেনা। মান বাড়ছে না। বিশ্বের সাথে তাল মিলছে না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন অ্যাডুকেশন (ডি এইড) ডিগ্রিধারী শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা আধুনিক করতে হবে। নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড) প্রতিষ্ঠা করে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা সময়ের দাবী। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন নতুন আবিস্কারের কেন্দ্রস্থল। বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই। কমপক্ষে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ এবং ৬০ শতাংশ বিদেশী ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি নীতি গ্রহণ করতে হবে। মর্নিং, ডে, ইভিনিং, নাইট ৪ শিফট শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে উচ্চশিক্ষার্থীর চাপ হ্রাস করে মেধার অপচয় রোধ করতে হবে। 

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলসীমা। সেটি প্রায় আরেকটি বাংলাদেশের সমপরিমাণ অঞ্চল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে রয়েছে গ্যাস ও তেলের মতো অফুরন্ত প্রাকৃতি সম্পদ ও প্রচুর মৎস্য সম্পদ, যা আহরিত হলে আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশের চাহিদা পূরণ এবং দেশের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হবে। এই সাগরে আছে মূল্যবান খাদ্য লবণ, সোডিয়াম, আয়োডিন, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড, মাছ ও জলজ উদ্ভিদ। তলদেশে গ্যাস, তেল, পেট্রোল, স্বর্ণ-রুপাসহ মূল্যবান ধাতু। আমাদের নজর দিতে হবে গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে। উন্নতমানের নৌযান তৈরি, সমুদ্র তলদেশ থেকে গ্যাস, তৈল, স্বর্ণ, লৌহ, তামার খনি আবিস্কার, উত্তোলন ও সরবরাহের কলাকৌশলে রপ্ত করতে হবে। 

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘সংকল্প’ কবিতায় লিখেছেন- থাকবা না কো বদ্ধ ঘরে/দেখবো এবার জগৎটাকে............

মানুষ অজানাকে জানার অচেনাকে চেনার দুর্নিবার আকাক্সক্ষা প্রাগৈতিহাসিক। ১৯০৩ সালে আমেরিকার বৈমানিক রাইট ব্রাদার্স আকাশে উড়োজাহাজ চালিয়ে মানবসভ্যতাকে আকাশপানে উত্তোলন করে। ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর সোভিয়েত ইউনিয়ন স্ফুটনিক-১ মহাকাশে প্রেরণ করে এক ইতিহাস সৃষ্টি করে। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই আমেরিকার বৈজ্ঞানিক নীল আর্মস্ট্রং ও এডউহন আলড্রিন কল্পনা আর বাস্তবের সংমিশ্রণে চাঁদের বুকে বুড়ির হাতের চা-পান করে বিশ্বকে চমকে দেয়। 

গত শতাব্দীটা ছিল বিজ্ঞান, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক উত্থান ও পতনের সুর্বণসময়। বিশ্ববাসী ২টি বিশ্বযুদ্ধ মোকাবিলা করেছে। ব্যবহৃত হয়েছে পারমাণবিক বোমা, যুদ্ধ বিভীষিকার মধ্যে উপনিবেশীক শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্ত হয়েছে শতাধিক রাষ্ট্র। জন্ম নিয়েছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, আরবলীগ, সার্ক, রেডক্রস, রোটারি ক্লাব। চালু হয়েছে নোবেল পুরস্কার। আবিস্কার হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। মানবজাতি মুক্তি পেয়েছে কলেরা, হাম, গুটিবসন্ত, যক্ষার মত মহামারি থেকে। নির্মিত হয়েছে বিশ্ব কাঁপানো ‘টাইটানিক’ চলচ্চিত্র। 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে হলে জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ওআইসি মহাসচিবের মত গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রাপ্তির কলাকৌশল আয়ত্ব করতে হবে। নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষে ০৮ টি বিভাগে ১০ হাজার মেঘাওয়াট ক্ষমতার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারমাণবিক শক্তি সাহস অর্জন সময়ের দাবী। সাহিত্য, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জনে শিল্প, শিক্ষা, সাহিত্য সাংস্কৃতিক, বিজ্ঞানকে ঢেলে সাজাতে হবে।

বাংলাদেশে আশির দশকে অতিরিক্ত সচিব নুরুল কবির সরকারি লোভনীয় চাকুরি ইস্তাফা দিয়ে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে সর্বপ্রথম ‘দেশ’ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করেন। ৩ হাজার ৪১২ জন শ্রমিকের মধ্যে ২ হাজার ২১৭ জনকে কোরিয়া থেকে ডিপ্লোমা শিক্ষা কোর্সে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। দেশ গার্মেন্টসে শ্রমিকদের উৎপাদন ও বেতন ছিল আকর্ষণীয়। 

১৯৪৭ সালে ব্রিট্রিশ থেকে বিভক্ত হয়ে জন্ম নেয় পূর্ব পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র। পাকিস্তানের রাজনীতিতে কৃষিকে বাদ দিয়ে শিল্পকে গুরুত্ব প্রদান করে। কৃষিজমি, বনজভূমি, জলজভূমি, গোচারণভূমি, বসতভিটা উচ্ছেদ করে হালকা শিল্প, ভারী শিল্প নগরী গড়ে তুলে। স্বাধীনতার পর বিসিক শিল্পনগরী, ইপিজেড, চামড়া, ক্যামিকেল, রেশম, জামদানি সর্বশেষ স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করে। ভূমির ক্ষতিপূরণ বাবদ কিস্তিতে অর্থ প্রদান করা হয়। এতে গৃহহীন নিঃস্ব হয়েছে স্থায়ীবাসীরা। গত পৌণে একশত বছরে কত কোটি লোক গৃহহীন, আশ্রয়হীন, ভূমিহীন হয়েছে তার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করার এখনই উপযুক্ত সময়। 

ডিপ্লোমা শিক্ষা গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় প্রতিষ্ঠিত ২৭ হাজার ৫১৭ টি শিল্পপ্লটের মধ্যে ৮ হাজার ২৩৭টি উপযুক্ত উদ্যোগের অভাবে বরাদ্ধ করা সম্ভব হয়নি। ৪ হাজার ২২২ টিতে অবকাঠামো নির্মাণ হয়নি। ৭ হাজার ৪৪টি শিল্প রুগ্ন হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। বাকি ৮ হাজার ১৪টি কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে। গার্মেন্টেসের ২/৪টি ছাড়া বাংলাদেশের ছোট, মাঝারি, বৃহৎ শিল্প আন্তর্জাতিকমানে উন্নত হয় নাই। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মানতো কল্পনা। এশিয়ার জাপান, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, চায়নার সমকক্ষও অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। বাধ্য হয়ে এদেশ তালা, ছাতা, মোবাইল, ট্রাকটার, এক্সরে মেশিন, সেলাই মেশিন, গাড়ী, রেলইঞ্জিন, বিমান, সাবমেরিন সবকিছুই আমদানি করতে হয়। 

এদেশের শিল্পগুলোকে আন্তর্জাতিকমানের করতে হলে বিদেশ থেকে কোন ফর্মুলা আমদানি করার প্রয়োজন নেই। চট্টগ্রামের কালুরঘাটের দেশ গার্মেন্টসই যথেষ্ট। এই শিল্পটির অবকাঠামো নির্মাণ, শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, যানবাহন ব্যবস্থা, বেতন-বোনাস, কাঁচামাল আমদানি, পণ্য রফতানি, বর্জ্য নিষ্কাশন সর্বোপরি শ্রমিক নিয়োগে কত শতাংশ ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তা অনুপুংঙ্ক বিশ্লেসণ করলেই হয়। প্রয়োজন শিল্পগুলোতে মর্নিং, ডে, ইভিনিং, নাইট চার শিফট উৎপাদন ব্যবস্থা চালু করা। সরকারি কর্মচারীদের মত শ্রমিকদের পেনশন প্রথা চালু করতে হবে। তা হলে এদেশ আমদানিনির্ভর জাতি থেকে রফতানিমুখী জাতিতে পরিণত হবে। কৃষি, বনজ, জলজ  গো-চারণ ভূমি বসতভিটা উচ্ছেদ বন্ধ করে নতুন কোন শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজন হবেনা। ৯৮ হাজার গ্রামের সমষ্ঠি বাংলাদেশ। ২০৭১ সালে এই সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজারে উন্নীত ঘটবে। ৭৬ শতাংশ মানুষের গ্রামে শ্রমের উন্নতি ঘটাতে হলে কৃষি, পশু, পোল্ট্রি, মৎস্য, কুঠির শিল্প, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে। শ্লোগান নির্ধারণ করতে হবে প্রতিটি গ্রাম থেকে ২টি কৃষি, ২টি শিল্প পণ্য রফতানি নীতি। 

প্রতিটি উপজেলায় কমপক্ষে ১০টি সরকারি/ বেসরকারিভাবে কৃষি, ভেটেরিনারি, লেদার, পলিটেকনিক, টেক্সটাইল, মেডিক্যাল টেকনোলজি, নার্সিং, প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, মেডিক্যাল ও ডেন্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাবার, মোবাইল ব্যাংকিং, এয়ারহোস্টেজ, পর্যটন, সাংবাদিকতা, বিমান পরিচালনা, সাবমেরিন, মহাকাশযান, নিউক্লিয়ার ইত্যাদি বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্সসহ সকল পণ্য ও পেশায় কমপক্ষে ৫০০ (পাঁচশত) নতুন ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে হবে। ডিপ্লোমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০ শতাংশ বিদেশী ছাত্র ভর্তি এবং ২০ শতাংশ বিদেশী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। বেসরকারি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউশনগুলোকে এমপিওভুক্ত করতে হবে। ডিপ্লোমা শব্দ যত্রতত্র অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। প্রতি বছর গড়ে ১৪ লক্ষ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এর অর্ধেক অর্থাৎ ০৭ (সাত) লক্ষ আসন বিশিষ্ট ডিপ্লোমা শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তর, পরিদপ্তর থেকে ডিপ্লোমা শিক্ষা কার্যক্রম পৃথক করে ‘স্বতন্ত্র’ একটি ডিপ্লোমা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বোর্ড ও অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। 

১৯৭১ সালে এদেশের লোকসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। ৫০ বছরে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮ কোটি। ২০৭০ সালে হবে ৪০ কোটি। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বিশাল জনসংখ্যাকে অন্য কোন দেশে স্থানান্তরিত করা না গেলে ৪০ কোটি লোকের বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, কবরস্থান, শ্বশান, অফিস-আদালত, রাস্তাঘাট নির্মাণ করতে গিয়ে কৃষি জমি নিঃশেষ হয়ে পড়বে। হাজারো নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, উপকূল অস্তিত্বহীন হবে। ভিশন-২০৭০ বাস্তবে রূপ নিলে আগামী ৫০ বছরে ২০ কোটি লোকের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বন্ধ হবে সুইপার, লেবার, রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, আয়া-বুয়া রফতানি। 

আসুন আমরা প্রস্তাবিত ভিশন ২০৭১ এ শ্লোগান দেই ‘আমরা আগে, আগে দুনিয়া পিছে পিছে’। জাতীয় ডিপ্লোমা শিক্ষা দিবসের মূল লক্ষ্যই এইসব। 

লেখক: টেকসই উন্নয়নকর্মী
[email protected]

এই বিভাগের আরো সংবাদ