আজকের শিরোনাম :

রাজধানীর ১০টি এলাকায় শব্দ ও বায়ু দূষণের জরিপ করবে ক্যাপস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২১, ২২:২৮

ঢাকা শহরের ১০টি তাৎপর্যপূর্ণ এলাকার বায়ু ও শব্দ দূষণ জরিপের জন্য দক্ষ জনবল তৈরীতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত। রাজধানী ঢাকায় দূষণ একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু ঢাকা শহরের কোন এলাকায় কি পরিমান দূষণ হচ্ছে সেটি জানতে গবেষণার প্রয়োজন। আর গবেষণার জন্য দক্ষ জনবল দরকার।

সম্প্রতি দক্ষ জনবল গড়তে ইউএসএআইডি (টঝঅওউ) ও ইউকেএআইডি টকঅওউ এর অর্থায়নে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র(ক্যাপস) ’র আয়োজনে দুই দিনব্যাপী বায়ু ও শব্দ দূষণ জরিপ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু’দিনব্যাপী এ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ্ আল নাঈম। এ কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা শহরের ১০টি তাৎপর্যপূর্ণ এলাকার বায়ু ও শব্দ দূষণ জরিপের জন্য দক্ষ জনবল তৈরী করা।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ কর্মশালাটি যৌথভাবে উদ্ধোধন করেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়টির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র(ক্যাপস)এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার ও ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর শরীফ জামিল।

জানা যায়, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত রাজধানীর আহসান মঞ্জিল, মতিঝিল, শাহবাগ, ধানমন্ডি, সংসদ ভবন এলাকা, তেজগাও, মিরপুর, গুলশান ও আব্দুল্লাহপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বায়ু ও শব্দ দূষণ জরিপ করবে ক্যাপস।

বায়ু ও শব্দ দূষণ নিয়ে কাজ করার মতো জনবলের যথেষ্ঠ অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে জানিয়ে ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দূষণের প্রকৃতি,ঘনত্ব এগুলো পরিমাপ করা জরুরি। ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চল বিভিন্ন রকম। কারণ রাজধানীতে আবাসিক এলাকা ,বাণিজ্যিক এলাকা,শিল্প এলাকা ও প্রশাসনিক এলাকা রয়েছে।বিভিন্ন এলাকায় বায়ু ও শব্দ দূষণের প্রকৃতি বিভিন্ন রকম। এজন্য আমরা একটা গবেষণা কার্য পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকা শহরের ভূমির ব্যবহারের ওপর পরিমাপ করে বায়ু ও শব্দ দূষণের পরিমাপ করা হবে। এই কাজটি করার জন্য দক্ষ জনবল তৈরীর লক্ষ্যে আমরা এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করি।

যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে তারা এর মাধ্যমে সারাদেশের বায়ু ও শব্দ দূষণ পরিমাপের কাজে নিয়োজিত হতে পারবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বায়ু ও শব্দ দূষণ গবেষণাটি একটি জনপ্রিয় গবেষণায় রূপান্তরিত হবে। আর বায়ু ও শব্দ দূষণ কমানোর ক্ষেত্রে এ গবেষণা নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

এ বিষয়ে বায়ু ও শব্দ দূষণ জরিপ কর্মশালার প্রশিক্ষক আব্দুল্লাহ আল নাঈম বলেন,বায়ু ও শব্দ দূষণের জরিপের জন্য আমরা স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আট জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। নমুনা সংগ্রহের পর তা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরীর নিয়মটা ওই কর্মশালায় শেখানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ঢাকা শহরের ৭০টি স্থানের বায়ুদূষণ বিষয়ে সমীক্ষা চালিয়ে গত মার্চের প্রতিবেদনে বলেছে, ঢাকার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণা ২.৫ এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি। এটি সাধারণ জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো অর্থাৎ যানবাহন, শিল্পকারখানা ও বর্জ্য পোড়ানো থেকে সৃষ্টি হয়। তবে নির্মাণকাজ হতে সৃষ্ট ধুলাবালি রাস্তার গাড়ির চাকার সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে অতিক্ষুদ্র ধূলিকণায় রূপান্তরিত হতে পারে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ