আজকের শিরোনাম :

বায়ুদূষণ রোধে রাজধানীর প্রবেশমুখে পানি ছিটানোর নির্দেশ: হাইকোর্ট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:০৪ | আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:০৫

ঢাকা মহানগরীর বায়ুদূষণ রোধে রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী, যাত্রাবাড়ি, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ছিটাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশ বাস্তবায়ন করে সংশ্লিস্টদের আগামী একমাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রাস্তার পাশের ছোটোখাটো গাছে জমে থাকা ধুলা-ময়লা যাতে পরিস্কার হয় সেজন্য রাস্তায় উপর থেকে পানি ছিটাতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে ছিটানোর ক্ষেত্রে পানির ঘাটতি দেখা দিলে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পর্যাপ্ত পরিমান পানি সরবরাহ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক সম্পূরক আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম, উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু ও দক্ষিন সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

পরে এডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, শীতকালে বাতাসে ধুলো-বালির পরিমাণ এমনিতেই বেড়ে যায়। সম্প্রতি বায়ু দূষণে ঢাকার অবস্থান বিশ্বে এক নম্বরে উঠে আসে। তাই  ঢাকা শহর ও আশেপাশের এলকার বায়ু দূষণ বন্ধে পাঁচ দফা নির্দেশনা চেয়ে একটি সম্পূরক আবেদন করে রিটকারী পক্ষ। এর মধ্যে তিনটি বিষয়ে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন।

এর আগে গতবছর ১৩ জানুয়ারি রাজধানী ও আশেপাশের বায়ু দূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা দেয় হাইকোর্ট। নির্দেশনাগুলো হলো-১. ঢাকা শহরে মাটি/বালি/বর্জ্য পরিবহনকৃত ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা, ২. নির্মানাধীন এলাকায় মাটি/বালি/সিমেন্ট/পাথর/নির্মান সামগ্রী ঢেকে রাখা, ৩. সিটি করপোরেশন রাস্তায় পানি ছিটাবে, ৪. রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোড়াখুড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা, ৫. কালো ধোয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ করা, ৬. সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারন ও উত্তীর্ন হওয়া সময়সীমার পরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা, ৭. অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা, ৮ পরিবেশ লাইসেন্স ব্যতীত চলমান সকল টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা এবং ৯. মার্কেট/দোকানে প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগ ভরে রাখা এবং অপসারণ নিশ্চিত করা। বৃহস্পতিবার এইসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে সম্পূরক আবেদনে নতুন করে পাঁচ দফা নির্দেশনা চাওয়া হয়। আদালত তিন দফা নির্দেশনা জারি করেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ