আজকের শিরোনাম :

আফজাল-সুবর্ণার ঈদের নাটক ‘নূরুল আলমের মধুচন্দ্রিমা’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০১৮, ১৬:২৫

ঢাকা, ০৭ আগস্ট, এবিনিউজ : আসছে ঈদ উল আযহায় এটিএন বাংলায় প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘নূরুল আলমের মধুচন্দ্রিমা’। এটি ঈদুল ফিতরে প্রচারিত ‘নূরুল আলমের বিয়ে’ নাটকের সিক্যুয়াল। নাটকটি ঈদের পরদিন রাত ৮.৩০ মিনিটে প্রচার হবে। বদরুল আনাম সৌদের রচনায় নাটকটি  পরিচালনা করেছেন আরিফ খান। নাটকটির মূল দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন ও সুবর্ণা মুস্তাফা।

এবারের গল্পে দেখা যাবে- নরুল আলম ও নিশাত বেগমের বিয়ে হয়েছে মাস খানেক হয়ে গেলো প্রায়। শত ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও নানা ঝামেলায় মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া এখনো হয়ে ওঠেনি তাদের। না যাওয়ার পেছনে আরো একটা কারন আছে সেটা হলো নূরুল আলম সাহেব কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না, কোথায় যাবে মধুচন্দ্রিমায়। যাই হোক শেষ পর্যন্ত এক সকালে মধুচন্দ্রিমা পালনের জন্য রওনা হয় নূরুল আলম ও নিশাত বেগম। কিন্তু কপাল ছিলো মন্দ, ঘন্টা দুয়েক পর পায়ে হেটে দুজনেই বাড়ি ফেরে। কিছুদুর যেতে না যেতেই গাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো তাদের। 

এবার মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা নিজে হাতে তুলে নেন নিশাত বেগম। ম্যাপ নিয়ে বসেন কোথায় যাবেন সেটা ঠিক করতে। ঠিক এই সময় এক তরুণী উপস্থিত হয় নিশাত বেগমের কাছে আবদার নিয়ে, তাও আবার ঢাকা থেকে। আবদার তার যে করেই হোক এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে তার পছন্দ মত ছেলের সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দিতে হবে। নয়তো মেয়েটির বাবা তার পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে করিয়ে দেবে। আর যত দিন না নিশাত বেগম তাকে তার পছন্দ মত ছেলে ঠিক করিয়ে দেয় ততদিন সে এই বাড়িতেই থাকবে। আক্কেল গুঢ়ুম নিশাত বেগম ও নূরুল আলমের।  

মেয়েটি মানে তানি থাকতে শুরু করে এই বাড়িতেই। নিশাত বেগম তো খোঁজেই, নূরুল আলমও ছেলে খোঁজা শুরু করে তানি’র জন্য। কিন্তু কোন ছেলেই পছন্দ হয় না তানি’র। এরমাঝে নিশাত বেগমের ছেলে আজাদ আসে ঢাকা থেকে, মা’র সাথে দেখা করতে আর তাকে দেখেই নূরুল আলমের মাথায় আসে চিন্তাটা। বিয়ের বয়স তো আজাদেরও হয়েছে তবে কেন না আজাদ তানি’র বিয়ে করিয়ে দেয়া যাক। কথাটা মন্দ ঠেকে না নিশাত বেগমের কাছেও।

তানিকে মেয়ে হিসেবে বেশ পছন্দ হয়েছে তার, কিন্তু সমস্যা হলো আজাদ বাড়িতে ঢোকার পরই ছোট্ট একটা বিবাদে জড়িয়েছিলো আজাদ তানি। আর সেই ঘটনার সূত্র ধরে এখন কেউ কাউকে দেখতেই পারছে না। নূরুল আলম ও নিশাত বেগম যতই চেষ্টা করে তাদের মিল করানোর, ততই বিগড়ায় ঘটনা। প্রায় রাতেই ইদানিং নিশাত বেগম কাঁদতে বসেন। কি হবে তাদের মধুচন্দ্রিমার। এই মেয়ের বিয়ে না হলে তো জীবনে আর মধুচন্দ্রিমাও হবে না।  

এবিএন/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ