জসিম ও আমজাদ হোসেনের জন্মদিন আজ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৩:৩৫
আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় সুন্দরী ও কসাই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জসিম। আজ প্রয়াত এই দুই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের জন্মদিন। আমজাদ হোসেন জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট, আর জসিম ১৯৫০ সালে।
বিশেষ এ দিন উপলক্ষে নির্মাতা ও অভিনেতাকে স্মরণ করছেন পরিবার, ভক্ত ও বন্ধুরা।
জসিমের পুরো নাম আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন, জন্ম ঢাকার নবাবগঞ্জে। তিনি একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক ও ফাইট পরিচালক। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান রয়েছে। ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় জসিমের। এই ছবিতে তিনি নির্মাতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হলেও পরিচিতি পান দেওয়ান নজরুল পরিচালিত ‘দোস্ত দুশমন’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের অভিনয় করে। তবে খলনায়ক থেকে নায়ক হন ‘সবুজ সাথী’চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এরপর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নায়ক হিসেবেই অভিনয় চালিয়ে যান।
তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে রংবাজ, প্রতিনিধি, এক মুঠো ভাত, আসামি হাজির, মহেশখালীর বাঁকে, প্রতিজ্ঞা, ঘরের বউ, জনি, অভিযান, অশান্তি, নিষ্পাপ, লালু মাস্তান, সারেন্ডার, মাস্তান, কাজের বেটি রহিমা, কালিয়া, স্বামী কেন আসামি প্রভৃতি। জসিম ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মারা যান।
আমজাদ হোসেনের জন্ম জামালপুরে। তিনি একাধারে অভিনেতা, লেখক, গীতিকার ও পরিচালক। তিনি কর্মজীবনে ১২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ৬টি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ছয়টি ভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।
১৯৬১ সালে ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে রূপালি জগতে আমজাদ হোসেনের আগমন। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন এবং চলচ্চিত্র পরিচালনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
আমজাদ পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুন নিয়ে খেলা’। পরে নয়নমনি, গোলাপী এখন ট্রেনে ও ভাত দে দিয়ে প্রশংসিত হন। তার বেশির সিনেমাই স্মরণীয়। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। এ ছাড়া সাহিত্যে ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার লাভ করেন। আমজাদ হোসেন ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর মারা যান।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ