আজকের শিরোনাম :

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে আলাউদ্দিন আলীকে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২০, ১২:৪০

বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীকে আজ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

আলাউদ্দিন আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিল্পীর মরদেহ আজ সকাল ১১টায় বারডেম থেকে প্রথমে তার বনশ্রীর বাসায় নেয়া হবে। সেখানে বিটিভির সহকর্মীবৃন্দ ও এলাকাবাসীর জন্য তাকে রাখা হবে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত। এরপর নেয়া হবে ৩৭৬ খিলগাঁওয়ে আলাউদ্দিন আলীর আদি বাড়িতে। সেখানে তাকে শেষবার দেখবেন শিল্পীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও অন্যান্য স্বজনরা।

দুপুর দেড়টায় খিলগাঁও তালতলা মোড়ে নুর-এ-বাগ জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে নেয়া হবে এফডিসিতে। সেখানে স্বজন-সুহৃদ ও শিল্পীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন বেলা ২টা থেকে ২.৩০ পর্যন্ত।

সবশেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শেষ শয্যায় সমাহিত হবেন বাংলা গানের ভুবনের উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক আলাউদ্দিন আলী।

বরেণ্য গীতিকার ও সুরকার আলাউদ্দিন আলী রোববার ৫টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

দীর্ঘদিন ধরে আলাউদ্দিন আলী ফুসফুসের প্রদাহ ও রক্তে সংক্রমণসহ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ক্যান্সারে আক্রান্তও হয়েছিলেন তিনি। শনিবার ভোরে তাকে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

প্রথমে ২০১৫ সালের ৩ জুলাই আলাউদ্দিন আলীকে ব্যাংকক নেয়া হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, তার ফুসফুসে একটি টিউমার রয়েছে। এরপর তার অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ক্যান্সারের চিকিৎসাও চলছিল। এর আগে বেশ কয়েক দফায় তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বাংলাদেশ ও ব্যাংককে তার চিকিৎসা হয়েছে। সাভারে সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন অব প্যারালাইজড কেন্দ্রেও তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছেন।

আলাউদ্দিন আলী বাংলাদেশের বরেণ্য সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার। এ পর্যন্ত ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সংগীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। যে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।

গুণী এই মানুষের জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে। তার বাবা ওস্তাদ জাদব আলী। মায়ের নাম জোহরা খাতুন।

‘একবার যদি কেউ ভালোবাসত’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’, ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়’, ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’, ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের তিনি সুরকার।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ