আজকের শিরোনাম :

'কে গান গাইবে সেটা সালমান ঠিক করে দেওয়ার কে?' এবার সরব অভিজিৎ, ইলা

  জি নিউজ

০৬ জুলাই ২০২০, ১১:০২ | অনলাইন সংস্করণ

স্বজপোষণ, ক্ষমতার জোরে কাজ পাওয়া, বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সঙ্গীত জগতেও এগুলি রয়েছে। এমনই অভিযোগ করেছিলেন সোনু নিগম। আর এবার সোনুর পর এবার মুখ খুললেন গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য।

তবে স্বজনপোষণ বিতর্কের মধ্যেই আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, সেটি হল এই বিষয়টি কি আগেও ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল? নাকি এগুলি সবই সাম্প্রতিক কালের বিষয়। এবিষয়ে গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, '' এগুলি এখনই বেশি হচ্ছে। ৯০ সালের আগে এগুলো কারোর ভাবনাতেও আসতো না।  একটি গান একজনগায়কের থেকে অন্যজনের কাছে চলে গেছে, এটি আগেও হয়েছে, তবে এমন নোংরামো আগে হত না। কোন গান কোন গায়ক গাইবেন, তা সঙ্গীত পরিচালক বা সুরকাররাই সিদ্ধান্ত নিতেন, কোনও মিউজিক কোম্পানি বা অন্য কোনও অভিনেতা নয়।''

ক্ষুব্ধ অভিজিৎ ভট্টাচার্য আরও বলেন, ''কোন গায়ক গান গাইবেন তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সলমন খান কে? কোনও গায়কের গাওয়া গান সালমান কীভাবে নিয়ে নিতে পারেন? আর এখানেই তো পক্ষপাতিত্ব স্পষ্ট।''

অভিজিতের কথায়, ''আমার সময় নেপোটিজম বিষয়টা কখনওই ছিল না। তবে হ্যাঁ, কেউ কারোর পছন্দের, কারোর শিবিরের সেটা ছিল, তবে এইরকম নোংরামো কখনওই হত না। সেসময় একজন প্রযোজক কোনওদিন সঙ্গীত পরিচালকের কাছে হস্তক্ষেপ করতে না। আর ডি বর্মন, খৈয়াম সাব, ও পি নায়ার, রবীন্দ্র জৈন-কে বলার কারোর সাহস ছিল না যে একে দিয়ে গাওয়ান। তার নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতেন। যদি নির্দিষ্ট কোনও গান, কোনও গায়কের গলায় ভালো না লাগার বিষয় হত, তখন হয়ত অন্য কাউকে গাওয়ানো হত। কবিতা কৃষ্ণমূর্তিও তো কোনও বড় সঙ্গীত পরিবার থেকে আসেননি, স্বতন্ত্র গায়ক ছিলেন, তবুও তাকে ডেকে সঙ্গীত পরিচালকরা গান গাইয়েছেন।''

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ