আজকের শিরোনাম :

সুশান্তের মৃত্যুর জন্য এবার মিডিয়ার একাংশকেও দুষলেন কঙ্গনা

  হিন্দুস্তান টাইমস

২০ জুন ২০২০, ১১:৫২ | অনলাইন সংস্করণ

সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনায় ফের বিস্ফোরক কঙ্গনা রানাওয়াত। সুশান্তের মৃত্যুর জন্য বলিউডের স্বজনপোষণ নীতিকে আগেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কঙ্গনা। এবার সরাসরি মিডিয়াকে একহাত নিলেন ‘কুইন’ তারকা। তিনি বলেন নাম না করে ভুলভাল গুজব লেখার মিডিয়ার যে অভ্যেস সেটাই সুশান্তকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। অর্থাত্ মিডিয়ার ব্লাইন্ড আইটেমস অনেকাংশে দায়ী তাঁর অবসাদগ্রস্ত হওয়ার। 

ভিডিয়োর শুরুতেই কঙ্গনা বলেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের ‘হত্যা’র ঘটনায় আমি বেশকিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি,কিছু সাক্ষাত্কার পড়েছি। সুশান্তের বাবা জানিয়েছেন, 'ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ঘটে চলা টেনশন নিয়ে সুশান্ত সমস্যায় ছিল', অন্যদিকে অভিষেক কাপুর যিনি ওকে লঞ্চ করেছিলেন এবং কিছুদিন আগেও কেদারনাথ ছবিটি করেছেন তিনি বলেন, এটা ছিল খুব সিস্টেমেটিক ভাবে একটা পলকা মনকে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছে। অঙ্কিতা যিনি কিনা একটা সুদীর্ঘ সময় ধরে সুশান্তের বান্ধবী ছিলেন তিনি বলেন, সামাজিক রূপে ঘটে চলা বেইজ্জতি সুশান্ত সহ্য করতে পারেনি'। মুভি মাফিয়ারা শুধু ওকে ব্যান করেনি,প্ল্যান করে ওঁর হত্যা করা হয়েছে। 

রবিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রার(ওয়েস্ট) কার্টার রোডের অ্যাপার্টমেন্টে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে আত্মহত্যাই করেছেন অভিনেতা।

এদিন ব্ল্যাইন্ড আইটেমস প্রসঙ্গে কড়া মন্তব্য করেন কঙ্গনা,তিনি বলেন ‘আপনার নাম লেখা থাকে না তাই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভবকর হয় না’-কিন্তু কাউকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলাটাকে এটা জার্নালিজম ভাবে। 

এই প্রসঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে কঙ্কনা বলেন, এই ঘটনার তাঁর সঙ্গেও বহুবার ঘটেছে। তাঁকে ব্যান করবার চেষ্টা করেছে বেশকিছু নামী সাংবাদিক। 

কঙ্গনা বলেন বলিউড সুশান্তকে আপন করে নেয়নি,তাঁকে আউটসাইডার হিসাবেই ট্রিট করেছে। সেকারণে শেষের দিকে বেশ কয়েকটি সাক্ষাত্কারে সুশান্তকে বলতে শোনা গিয়েছে,'দয়া করে আমার ফিল্ম দেখো, না হলে ওঁরা আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে'। 

 

এর আগে একসময় সুশান্তের চর্চিত বান্ধী তথা রাবতা কো-স্টারও মিডিয়ার ব্লাইন্ড এবং আনসেনসারড আইটেম নিয়ে তোপ দাগেন। ইনস্টা পোস্টে তিনি বলেন ব্লাইন্ড আইটেম গুলো দ্রুত বেআইনি ঘোষণা করা উচিত।কারণ সেগুলো অনেকের মেন্টাল হ্যারাসমেন্টের কারণ হতে পারে। দয়া করে উচিত প্রমাণ থাকলে তবেই খবর লিখুন না হলে ভুলভাল খবর প্রচার করা থেকেে বিরত থাকুন'।

প্রসঙ্গত, সুশান্ত গত ছয়মাস ধরে ক্নিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন সেকথা জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। তবে এই ডিপ্রেশনের কারণ পেশাগত বিদ্বেষ কিনা তা খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করা হবে আগেই আশ্বাস দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের গৃহমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ