আজকের শিরোনাম :

আমির-ঐশ্বরিয়ার বন্ধুত্ব নষ্ট হয় পারিশ্রমিক বাড়ানোর জেরে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২০, ১০:১০

শোবিজে প্রথম দিকে আমির খান ছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বন্ধু। সাবেক বিশ্বসুন্দরীর প্রথম বিজ্ঞাপন চিত্রে সহশিল্পী ছিলেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট ও মহিমা চৌধুরী। জীবনের প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্যুরও করেছিলেন আমিরের সঙ্গে। সে সময় দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। কিন্তু পরে সিনেমায় জুটি বাঁধা হয়নি তাদের, এমনকি মুখ দেখাদেখিও ছিল বন্ধ।

শোনা যায়, ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ ছবির ‘আরতি’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ঐশ্বরিয়াকে বলেছিলেন আমির। কিন্তু লেখাপড়া ও মডেলিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অভিনয় হয়ে ওঠেনি। তার বদলে কারিশমা কাপুরকে নিয়ে সিনেমাটি ভীষণ হিট করে।

অবশ্য আমিরের কথায় ২০০০ সালে ঐশ্বরিয়া ‘মেলা’ ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেন। একটি বিজ্ঞাপনেও দেখা যায় তাদের।

এর পর চাচা মনসুর খানের ‘জোশ’ সিনেমার প্রস্তাব আসলে ঐশ্বরিয়াকে অভিনয়ের কথা বলেন আমির। কিন্তু মতানৈক্যের কারণে এ নায়ক সরে দাঁড়ালে তার জায়গায় আসেন চন্দ্রচুড় সিং, অন্য চরিত্রে ছিলেন শাহরুখ খান।

কাছাকাছি সময়ে দুই তারকার ব্যক্তিগত জীবনেই সমস্যা দেখা দেয়। স্ত্রী রীনার সঙ্গে আমিরের দাম্পত্যে‌ ফাটল ধরে। অন্যদিকে সালমান-ঐশ্বরিয়ার প্রেম ভেঙে যাওয়ার খবরে আলোড়িত হচ্ছিল সংবাদমাধ্যম।

দুই বছর পর আমির-ঐশ্বরিয়া মন দেন নিজেদের ক্যারিয়ারে। এ সময় ‘মঙ্গল পাণ্ডে: দ্য রাইজিং’ ছবির জন্য ঐশ্বনিয়াকে বেছে নেন আমির। প্রথমে এই ছবির প্রযোজক ছিল সাহারা। তারকাদের চুক্তি স্বাক্ষর ও বড় বাজেটের এ ছবির শুটিং শুরু হতে অনেক সময় লেগে যায়।

ইতিমধ্যে ‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে ঐশ্বরিয়ার আন্তর্জাতিক খ্যাতি বাড়ে। কান চলচ্চিত্র উৎসবেও নিয়মিত তারকা হয়ে যান। আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেকে প্রোমোট করার জন্য একজন এজেন্টও নিয়োগ করেন। তিনি ঐশ্বরিয়াকে পারিশ্রমিক বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

ঐশ্বরিয়াও চুক্তিবদ্ধ ছবির পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দিলেন। ‘মঙ্গল পাণ্ডে’র দেড় কোটি টাকার জায়গায় চান দ্বিগুণ। কিন্তু পরিচালক কেতন মেহতার কাছে বড় ছিল নিজের ছবি। এই বিবাদের জেরে ছবি থেকে সরে দাঁড়ালেন ঐশ্বরিয়া, স্থলাভিষিক্ত হন আমিশা প্যাটেল। কিন্তু প্রযোজনা সংস্থার কাছে খবর ছিল না ছবির নায়িকা বদল হয়ে গিয়েছে। ফলে সাহারাও সরে দাঁড়ায়। তখন শুটিং শুরুর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি ছিল।

আমির-কেতন ঠিক করলেন যে করেই হোক ছবি শেষ করবেন। প্রযোজনার দায়িত্ব নিলেন কেতন নিজেই। ঐশ্বরিয়ার এই অপেশাদার আচরণে ক্ষুব্ধ হন আমির। যদিও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেন ঐশ্বরিয়া। তার চরিত্রও নাকি ঠিক করে ব্যাখ্যা করা হয়নি। শেষে বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ‘মঙ্গল পাণ্ডে’। সেইসঙ্গে চিরদিনের জন্য তিক্ত হয়ে যায় আমির-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক। দীর্ঘ দিন তারা একে-অপরের মুখ দেখেননি। পরে একসঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাবে ঐশ্বরিয়া রাজি হলেও আমির না করে দেন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ