গাড়ির কাঁচ ভেঙে ৬৫ টুকরো ঢুকে যায় অভিনেত্রীর মুখে!
জিনিউজ
০৯ জুন ২০২০, ১১:৩৫ | আপডেট : ০৯ জুন ২০২০, ১১:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
১৯৯৭ সালে শাহরুখ খানের বিপরীতে 'পরদেশ' দিয়ে বলিউডে পা রাখেন তিনি। পরদেশ-এ যখন তাঁকে 'দো দিল মিল রহে হ্যায়'-তে দর্শক দেখেন, তখন যেন এক লহমায় আট থেকে আশির হৃদয়ে ঝড় উঠতে শুরু করে। বুঝতেই পারছেন, বাঙালি কন্যা মহিমা চৌধুরীর কথাই বলা হচ্ছে। মহিমার কেরিয়ারের শুরুতে যমন পরদেশ এসে হাজির হয়, তেমনি কয়েক বছরের মধ্যেই প্রায় শেষ হয়ে যায় তাঁর ফিল্মি দুনিয়া।
সম্প্রতি পিঙ্কভিলার একটি সাক্ষাতকারে জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন মহিমা। তিনি বলেন, অজয় দেবগণ এবং কাজলের সঙ্গে দিল ক্যা করে-র শ্যুটিং করছিলেন বেঙ্গালুরুতে। ওই সময় হঠাত করেই গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন তিনি। দুর্ঘটনার জেরে গাড়ির সামনের দিকের কাঁচ ভেঙে তাঁর মুখে ফুটে যায়। হাসপাতালে যখন পৌঁছন, সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রপচার করা হয়। জানা যায়, প্রায় ৬৫টি কাঁচ তাঁর মুখে ফুটে গেছে।
অস্ত্রপচারের পর অন্ধকার ঘরে থাকার নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। বেশ কয়েক বছর তার লেগে যায় ওই ক্ষত সারাতে। ওই সময় বলিউডে পরপর বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট ছিল তাঁর হাতে কিন্তু সবকিছু থেকেই নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। মানুষ বলতে শুরু করেন, 'আরে এঁর তো চেহারাই নষ্ট হয়ে গেছে'। যা শুনতে শুনতে কেমন নিজের উপর থেকে সমস্ত বিশ্বাস তার হারিয়ে যায়।
ক্রমশ তিনি যখন ক্ষত সারিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেন, তখন ডিজাইনার নীতা লুল্লা তাঁকে সঙ্গ দেন। এমনকী, মহিমা ফের নতুন করে কাজ শুরু করুন বলে পরামর্শ দেন নীতা। এরপর 'ইয়াদ পিয়া কী আনে লাগি'-তে দেখা যায় মহিমা চৌধুরীকে। অক্ষয় কুমারও তাঁর মনের জোর বাড়ান। ফলে 'ধড়কন'-এ আবার নতুন করে দেখা যায় মহিমাকে। তবে ওই দুর্ঘটনাই তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার ধ্বংস করে দেয় বলে জানান মহিমা চৌধুরী।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ