আজকের শিরোনাম :

সেই রতন কাহারকে ৫ লাখ রুপি দিলেন বাদশাহ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২০, ১৬:০৫

বাদশা কথা দিয়েছিলেন লকডাউন শেষ হলেই বীরভূমের সিউড়ি যাবেন। বলেছিলেন অর্থসাহায্যও করবেন। কিন্তু লকডাউন শেষ হবার আগেই টাকা পৌঁছে গেল রতন কাহারের অ্যাকাউন্টে। সোমবার বীরভূমের লোকশিল্পীকে ৫ লক্ষ টাকা পাঠালেন বাদশা। কয়েকদিন আগে রতন কাহারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন তিনি। তখনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, রতন কাহারের পাশাপাশি তাঁর নাতি-নাতনির পড়াশোনার জন্যেও আর্থিক সাহায্যে করবেন। তিনি যে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেননি, দু’জনের মধ্যেই তা প্রমাণ করে দিলেন বাদশা।

মুক্তির পর থেকেই চার্টবাস্টারে প্রথমের দিকেই রয়েছে ব়্যাপার বাদশার ‘গেন্দাফুল’। কিন্তু জনপ্রিয়তার পাশাপাশি সমালোচনার শিকার হতে হয় বাদশাকে। নেটিজেনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন, ‘বড়লোকের বিটি লো’ গানটি বাংলার শিল্পী রতন কাহারের সৃষ্টি। অথচ তাঁর নাম উল্লেখ নেই কোথাও। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩১ মার্চ ‘গেন্দাফুল’ গান এবং বাংলার রতন কাহার প্রসঙ্গে মুখ খুলতে বাধ্য হন বাদশা। 

জানান, এই গানটি যে রতন কাহারের লেখা সেটা তিনি জানতেন না। এর আগে বহুবার এই গান তিনি শুনেছেন এবং ইউটিউবে এই গানের বহু রিমেকও রয়েছে। তার মূল কারণ, সব ক্ষেত্রেই শুধু উল্লেখ রয়েছে, এটি ‘বাংলার লোকগীতি’, কিন্তু কোনওটাতেই গানের রচয়িতার নাম নেই। প্রসঙ্গত, দুবছর আগে একটি বাণিজ্যিক বাংলা ছবিতেও এই গানের কথা নিয়ে রিমিক্স করা হয় এবং সেখানেও রতন কাহারের কোনও নাম ছিল না। স্বাভাবিকবশতই মূল সত্যিটা বাদশারও নজরের আড়ালেই রয়ে যায়।

তবে ‘গেন্দাফুল’ বাজারে হিট হতেই বাদশার নামে গান চুরির অভিযোগ ওঠে। তারপরই বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে, রীতিমতো নেট ঘেঁটে বাদশা রতন কাহার সম্পর্কে জানতে পারেন। তাঁকে নিয়ে যে তথ্যচিত্র রয়েছে, সেটাও দেখেন। তারপরই বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে তিনি নিজে গিয়ে রতন কাহারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। লকডাউনের জেরে তা সম্ভব না হলেও ভিডিও কলে রতন কাহারের সঙ্গে কথা বলেছেন বাদশা। 

গেন্দাফুল গান নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি বাংলার এই লোকগীতি শিল্পীর কাছ থেকে গানও শুনতে চান বলিউড গায়ক। যা শুনে মুগ্ধ হয়ে বাদশা নিজেই রতন কাহারের আরও বেশকিছু গান নিয়ে কাজ করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ