আজকের শিরোনাম :

বৈশাখী টিভিতে

রাশেদ সীমান্ত ও নাদিয়া জুটির নাটক ‘আমার বাবা’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৮

গত ঈদুল আযহায় বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত মধ্য রাতের সেবা নাটকের মাধ্যমে ভারইরাল হন রাশেদ সীমান্ত। এ নাটক প্রচারের পরপরই আলোচনার শীর্ষে চলে আসেন তিনি। মিডিয়া প্রচারণাও ছিল চোখে পড়ার মতো।

আগামী ২৪ জানুয়ারী বৈশাখী টিভিতে রাত সাড়ে ৮টায়  প্রচার হবে সেই রাশেদ সীমান্তের নতুন নাটক ‘আমার বাবা’। সৈয়দ ইকবালের গল্পে সুবাতা রাহিক জারিফার রচনায় এবং আল হাজেনের পরিচালনায় এ নাটকটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নাদিয়া আহমেদ।

এখানে রাশেদ সীমান্তকে দেখা যাবে বরিশালের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে স্ট্রোকে আক্রান্ত বাবাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। আব্দুল হান্নান এবং আব্দুল মান্নান সম্পর্কে পিতা-পুত্র। তারা বরিশালের প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে বসবাস করেন। পুত্র আব্দুল মান্নান তার মাকে হারিয়েছে ছোট বেলায়।

কিন্তু বাবা আব্দুল হান্নান ছেলে মান্নানের কথা ভেবে আর দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। বাবা আব্দুল হান্নান ছেলেকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেন। কখনও ছেলেকে মায়ের অভাব বুঝতে দেয়নি। পিতা-পুত্রের যে ভালোবাসার বন্ধন তাদের গ্রামের অন্য লোকজন আদর্শ হিসাবে মানে। বাবা আব্দুল হান্নান ছেলে আব্দুল মান্নানকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু ছেলে আব্দুল মান্নান বাবার সবকিছু মেনে নিলেও বিয়েতে রাজী হয় না।

কারণ, সে যদি বিয়ে করে এবং বৌ যদি বদমেজাজের হয় তাহলে সে তার বাবার সাথে বেয়াদবি করতে পারে, যা মান্নানের পক্ষে কোন অবস্থাতেই মেনে নেওয়া সম্ভাব না। এরই মধ্যে একদিন বাবা আব্দুল হান্নান ধান ক্ষেতে কাজ করার সময় স্ট্রোক করেন। ছেলে আব্দুল মান্নান মনে করেন তার বাবার ঘুমের কোন রোগ হয়েছে। সে বাবাকে দ্রুত ঢাকায় হসপিটালে নিয়ে আসেন।

দুই-তিন দিন অতিবাহিত হলে বাবার ঘুম না ভাঙায় ছেলে মান্নান খুব চিন্তায় পড়ে যায়। সে ডাক্তার নার্স সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরে এবং বলে তাদের গাছের ফল, পুকুরের মাছ,গরুর দুধ ইত্যাদি উপহার দিবে কিন্তু তার বিনিময়ে ডাক্তার নার্সরা যেন তার বাবার ঘুম ভাঙ্গার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার বাবার ঘুম কি আদৌ ভাঙ্গে? এমনই দুঃখ জাগানিয়া কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘আমার বাবা’। বাবার চরিত্রে অবিনয় করেছেন অভিনেতা কে. এস ফিরোজ।
 

এবিএন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ