আজকের শিরোনাম :

কেটেছে চলচ্চিত্রের বন্ধ্যাত্ব, মধ্যবিত্ত আবার হলমুখী : তথ্যমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৩৮

‘চলচ্চিত্রের বন্ধ্যাত্ব কেটে গেছে এবং মধ্যবিত্ত আবার হলমুখী হয়েছে’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাতা-শিল্পী ও কুশলীরা মেধাবী। অতীতেও তারা মেধার স্বাক্ষর রেখেছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

মন্ত্রী এসময় চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। চলচ্চিত্রের জন্য বাৎসরিক অনুদান ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা উন্নীত করা, চলচ্চিত্রপ্রতি অনুদানের পরিমাণ ৬০ থেকে ৭৫ লাখ করা, অনুদানের চলচ্চিত্রের হলে মুক্তিপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা, চলচ্চিত্র শিল্পীকল্যাণ ট্রাস্ট গঠনে অগ্রগতির কথা জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতাপূর্ব পূর্ববাংলায় যখন ভারতীয় ও পাকিস্তানে নির্মিত চলচ্চিত্রের বাজার, সেই প্রেক্ষাপটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী হিসেবে ১৯৫৭ সালে এফডিসি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বাংলা সিনেমার বিকাশ ঘটে। সেই থেকে আমাদের এই জনপদে কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। আমাদের দেশে বহুকালজয়ী শিল্পীরও আর্বিভাব হয়েছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আবার শুধু স্বর্ণযুগই ফিরে আসবে না, আমরা যেন বিশ্ববাজারেও স্থান করে নিতে পারি, সেজন্যও আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মানুষকে বিনোদন দেয়ার সাথে সাথে সমাজকে পরিশুদ্ধ করার জন্য প্রত্যেক ছবিতে যেন একটি বার্তা থাকে, সেই অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান প্রযোজক-পরিবেশকদের বলেন, সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরে তা দূর করার জন্য এবং সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করার জন্য বার্তাসমৃদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য আমি আপনাদের আহ্বান জানাই।  

সভার শুরুতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি’র নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু’র নেতৃত্বে সদস্যবৃন্দ তথ্যমন্ত্রী ও তথ্যসচিবকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। খোরশেদ আলম খসরু এসময় প্রতিটি চলচ্চিত্র নির্মাণ শেষে বিএফডিসি থেকে সেন্সর বোর্ডকে প্রদেয় ছাড়পত্রের জন্য নবনির্ধারিত এক লাখ টাকা ফিস কমানোর আবেদন জানান ও চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সরকার গৃহীত নানা পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
 
সমিতির কার্যকরী কমিটির উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামাল মোঃ কিবরিয়া (লিপু), সহ-সভাপতি মোঃ শহীদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল ও মোঃ আলিম উল্যাহ, কোষাধ্যক্ষ মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনির, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোরশেদ খান হিমেল, কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যবৃন্দ এম.এন. ইস্পাহানী, রশিদুল আমিন হলি, জাহিদ হোসেন, আলমগীর আলম জোয়ার্দ্দার রানা (এ.জে. রানা), মোহাম্মদ হোসেন, ইয়ামিন হক ববি, কামাল হাসান, অপূর্ব রায়, মোঃ নাদির খান, আজিজ আহমেদ পাপ্পু ও মোঃ আসিকুর রহমান নাদিম, সদস্যবৃন্দ মোহাম্মদ হোসেন জেমী, জাহাঙ্গীর আলম, হুমায়ন কবীর সুজন, কাজী মোঃ ইসলাম মিয়া প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
 

এবিএন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ