আজকের শিরোনাম :

হাসপাতালে কোরআন-হাদিসের বই পড়ে সময় কাটছে শামসুজ্জামানের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:৫২

কিংবদন্তী অভিনেতা এটি এম শামসুজ্জামান বর্তমানে শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে একাকীত্ব জীবন-যাপন করছেন এ অভিনেতা। পরপর দুই ঈদ হাসপাতালেই কাটালেন প্রবীণ অভিনেতা শামসুজ্জামান।

হাসপাতালে কেমন আছেন শামসুজ্জামন? কীভাবে কাটছে তার দিন? তা খোঁজ নিতেই পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজ যোগাযোগ করে তার মেজো মেয়ে কোয়েলের সঙ্গে।

গুণী এ অভিনেতার মেজো মেয়ে পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজকে জানান, বাবা অনেকটা ভালো আছেন। বর্তমানে তিনি বেশ সুস্থ আছেন। ঈদের আগের দিন তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে দেওয়া হয়। এখন কেবিনে আছেন তিনি। ডাক্তারের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের কারণে তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।

কোয়েল বলেন, বাবা চিরকালেই বই প্রেমি একজন মানুষ। বই না পড়লে তার ঘুম আসে না। অসুস্থতার মধ্যেও হাসপাতালে তিনি বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন। যখন যে বই পড়তে চান, আম্মা বাসা থেকে এনে দেন। তাছাড়া বাবাকে যারা দেখতে আসছেন তারাও বাবার জন্য বই নিয়ে আসছেন। সেগুলোও তিনি পড়ছেন।

বাবার জন্য দোয়া চেয়ে কোয়েল আরও জানান বাবা বেশিরভাগ সময় কোরআন-হাদিসের বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ, নজরুলসহ বিভিন্ন ধরণের সাহিত্যের বই পড়েন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ শে এপ্রিল রাতে বাসায় অসুস্থবোধ করলে এ টি এম শাসুজ্জামানকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুরু থেকেই তিনি প্রফেসর ডা. রাকিব উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে পরদিন দুপুরে প্রায় তিন ঘণ্টার অপারেশন শেষে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এটি এম শামসুজ্জামানকে। ৩০শে এপ্রিল তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় কিংবদন্তি এই অভিনেতাকে।

গত ১৩ মে আনুষ্ঠানিকভাবে এটিএম শামসুজ্জামানের চিকিৎসার সব ধরনের দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অভিনেতার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক হাসপাতালের তহবিলে জমা দেয়া হয়েছে। নিয়মিত এটিএম শামসুজ্জামানের খোঁজ খবরও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। আজগর আলী হাসপাতালে প্রায় দুই মাস চিকিৎসা করানোর পর ১৬ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়।

এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে ‘বিষকন্যা’ ছবিতে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর সহকারী হিসেবে। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা। এ পর্যন্ত শতাধিক ছবির চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন এটিএম শামসুজ্জামান। এরপর বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করে পান দর্শকপ্রিয়তা।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ