আজকের শিরোনাম :

আমি প্রস্টিটিউটদের ভালবাসি: স্বস্তিকা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৫৩

সোজা কথার সোজাভাবে উত্তর দিতেই পছন্দ করেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। কখনও রাজনীতি, কখনও সামাজিক ইস্যুতে স্পষ্ট জবাব দিতে দেখা গিয়েছে টলিউডের এই সাহসী অভিনেত্রীকে। এবার আরও একবার এক ফলোয়ারের মুখের উপর কড়া জবাব দিলেন তিনি।

সম্প্রতি, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন স্বস্তিকা। গায়ে কালো রঙের কুর্তি, চোখে সানগ্লাস ও ঠোঁটে গাঢ় বেগুনি লিপস্টিক। সেলফি টি পোস্ট করার পরই আসে একটি কমেন্ট। একজন লিখেছেন, ‘যৌনকর্মীদের মতো লাগে।’ ওই কমেন্টে স্বস্তিকার ফ্যানেরা ক্ষুব্ধ হয়ে জবাবও দিতে শুরু করেন। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথায় আসরে নামেন খোদ স্বস্তিকা।

জবাবে তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রস্টিটিউটদের ভালবাসি। ওরাও সমাজের অংশ, তাই না? সমাজের যত নোংরা নিজের শরীর দিয়ে পরিষ্কার করেন ওরা। তা না হলে সেই নোংরা আমার আপনার মতো ভদ্রলোকের বাড়িতে এসে ঢুকে পড়ত। তাই মাঝে মাঝে ওই সব মানুষের ‘স্টাইল’ও অনুকরণ করা উচিত। শুধু বলিউডের স্টাইল নকল করলে হবে?’ তিনি লেখেন,ওদের একটু সম্মান দিলে নিজের সম্মান কমবে না। বেশ্যারাও মানুষ। আর আমি ওদের ভালবাসি। যৌনকর্মীদের স্টাইলকে আমার স্যালুট। আমাকে যদি ওদের মতো দেখতে লাগে, তাহলে আমি গর্ব বোধ করব।’

স্বস্তিকার ওই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে রাতারাতি প্রশংসার ঝড় ওঠে। কেউ লেখেন, ‘যে ভাবে তুমি পুরো ঘটনা সামাল দিলে তা সত্যি অসাধারণ’। অনেকেই তাঁকে তারিফ করেছেন।
 
এর আগে তাঁর স্তনের আকার নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন একজন। তাঁকেও গুছিয়ে উত্তর দিতে ছাড়েননি স্বস্তিকা। বলেছিলেন, ‘আমার স্তনের আকার নিয়ে আমি গর্বিত’।

এক ডিজাইনারের পোশাক পরে ছবি পোস্ট করেছিলেন স্বস্তিকা। নীল আর সাদা মেশানো সালোয়ার পরণে। অনেকেই প্রশংসা করে কমেন্ট করেছেন ছবির তলায়। তবে ট্রোলেরও অভাব হয়নি। কেউ খোঁটা দেন বয়স নিয়ে। কেউ আবার শরীর। অভিনেত্রীর স্তনের আকার ঠিক নেই বলেও মন্তব্য করেন অনেকে। কেউ বলেন, স্তনের আকার ঠিক না থাকায় পোশাকটা তাঁকে মানাচ্ছে না।

এইসব ট্রোলেরই জবাব দেন স্বস্তিকা। লেখেন, ‘আমি আমার স্তনের আকার নিয়ে গর্বিত। আমি একজন গর্বিত মা।’ যেসব পুরুষেরা এমন মন্তব্য করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘আগে নিজের সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান, তারপর কথা বলবেন। আমি আমার স্তনের এই পরিবর্তিত আকার নিয়ে গর্বিত। কারণ আমি একজন গর্বিত মা। আমি কখনও পাম্প ব্যবহার করিনি।’

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ