আজকের শিরোনাম :

তারেক-মাসুদকে হারানোর আট বছর আজ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০১৯, ০৯:০৫ | আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০১৯, ০৯:১১

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও বাংলাদেশে টেলিভিশন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ আশফাক মিশুক মুনীরের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৩ আগস্ট)।

২০১১ সালের এই দিন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তারাসহ আরও তিনজন চলচ্চিত্রকর্মী নিহত হন।  

তারেক মাসুদ, ক্যাথরিন মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ নয় সদস্যের একটি দল তাদের নতুন ছবি ‘কাগজের ফুল’-এর লোকেশন দেখতে যান মানিকগঞ্জে। সেখান থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

১৯৮২ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ থেকে ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স শেষ করে তিনি তাঁর প্রথম প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানকে নিয়ে ‘আদম সুরত’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন তারেক মাসুদ। এরপর থেকে তিনি বেশ কিছু ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেশন এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১৯৯৫ সালে একটি ভ্রাম্যমাণ গানের দলকে নিয়ে তাঁর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’ ও ‘মুক্তির কথা’ (১৯৯৬) প্রশংসিত হয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। এরপর ২০০২ সালে তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’ দেশের চলচ্চিত্রকে নিয়ে যায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্যামেরা ‘ডিরেক্টর’ হিসেবে কাজ করে যে কয়জন মানুষ পরিচিতি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে আশফাক মিশুক মুনীর ছিলেন অন্যতম। শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আশফাক দীর্ঘদিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিবিসির ভিডিও গ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন।

তারেক মাসুদের ছবি ‘রানওয়ে’র প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন মিশুক মুনীর। নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে তাদের দু’জনকে একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করে সরকার।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ