আজকের শিরোনাম :

‘নির্বাচন হচ্ছে, এগুলো যারা করছে তারা ভোটার নন’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০১৯, ০০:১৭

রাত শেষ হলেই ২১ জুন সকাল থেকে শুরু হবে অভিনয় শিল্পী সংঘের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। কারণ আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা হাতে পাননি এবারের নির্বাচনের অন্যতম সভাপতি প্রার্থী শহীদুজ্জামান সেলিম। তার সাথে একই কথা বললেন সংঘের শেষ সভাপতি শহীদুল আলম সাচ্চু।

শুক্রবার (২১) জুন সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। কোনো কারণে স্থগিত হচ্ছে না নির্বাচন, বললেন এবারের সভাপতি পদ প্রার্থী শহীদুজ্জামান সেলিম। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচন বন্ধের কোনো নিদের্শ পায়নি। আমাদের কাছে এই বিষয়ে আদালতের কোনো চিঠি নির্বাচন কমিশনেও আসেনি, সংঘের অফিসেও আসেনি। তাই আমরা নির্বাচনের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। আমরা যারা নির্বাচন করছি, ভোটার যারা ভোট দেবেন- তারাও সেই প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছি। নির্বাচন কালকে (২১ জুন) হচ্ছে। এবং নির্বাচনের পর আইনানুগ কোনও প্রক্রিয়া থাকলে সেটা সম্পন্ন করা হবে। এটা হলো আমাদের সবার সিদ্ধান্ত- যারা নির্বাচনে প্রার্থী। নির্বাচন হচ্ছে, এগুলো যারা করছে তারা ভোটার নন।

এদিকে অনেকটা একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন সংঘের শেষ নির্বাচিত সভাপতি শহীদুল আলম সাচ্চু। উচ্চ আদালতের কোনও চিঠি তারা পাননি তাই এটি প্রতিপালনেরও কোনও বিষয় থাকছে না বলে মনে করেন এই শিল্পী।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‌এখন পর্যন্ত আমাদের অফিসে কেউ আসেননি। আমি ফোনে খোঁজ নিয়েছি। যেহেতু আমাদের কাছে কোনো চিঠি আসেনি সেহেতু আমরা নির্বাচন এর কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।

বিষয়টি নিয়ে অন্যতম বাদী শেখ এহসানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, মূলত শিল্পী সংঘের যে নীতিমালা তা ভায়োলেশন করা হচ্ছে। চার মাস যাবত বিগত কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেছি। সর্বশেষ আন্তঃ-বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহ হয়নি। এর ফলে আমরা আদালতে আবেদন করেছি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই অস্থায়ী স্থগিতাদেশ দেওয়া হলো।

গঠনতন্ত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‌‘তফসিলে বলেছে ১৫-এর ৬ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এতে উল্লেখ আছে যে, একটি সাধারণ সভার মধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন ও নির্বাচনকালীন কমিটি গঠন হবে। অথচ সাধারণ সভা ছাড়াই আগের কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কমিটি গঠন করেছেন। এছাড়াও তারা সমাজসেবা অধিদফতরে প্রচুর অসত্য তথ্য দিয়েছেন। এসব কারণ ছাড়া আরো বেশকিছু কারণ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০ জুন দুপুরে দফতরে উচ্চ আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার কাগজটি এসেছে। সেখানে দেখা যায়, সংঘেরই তিন সদস্য শেখ মো. এহসানুর রহমান, আব্দুল্লাহ রানা ও নূর মুহাম্মদ রাজ্য বাদী হয়ে একটি রিট করেছেন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ