রাত পোহালেই শিল্পী সংঘের নির্বাচন, ভিন্নধর্মী প্রচারণায় আলোচিত প্রাণ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুন ২০১৯, ২০:৪৬ | আপডেট : ২০ জুন ২০১৯, ২০:৫৭
রাত পোহালেই টেলিভিশন অভিনয় শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল ৯টা থেকেই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জমে উঠেছে শেষ সময়ের নির্বাচনী প্রচার । নির্বাচনকে ঘিরে টিভি মিডিয়ার শিল্পী-কলাকুশলীদের মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। এদিকে সফলভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া ভিন্নধর্মী প্রচারণায় ভোটারদের কাছে আলোচিত হয়েছেন ছোট পর্দার প্রিয়মুখ অভিনেতা প্রাণ। তিনি প্রচার ও প্রকাশনা পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।জানাগেছে, তিনি নির্বাচন উপলক্ষে কোন ধরনের পোষ্টার বা হ্যান্ডবিল ছাপাননি।সরাসরি ভোটারদের কাছে গিয়ে ডিজিটাল পোস্টার দেখিয়ে ভোট চাইছেন প্রাণ।আর এজন্য তিনি ব্যবহার করছেন স্মার্ট ফোন ও ট্যাব। তাঁর শৈল্পিক পোস্টারগুলো নিয়ে এরইমধ্যে ভোটারদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রান বলেন, এটা যেহেতু কোন রাজনৈতিক নির্বাচন নয়, তাই পোষ্টার বা হ্যান্ডবিল ছাপায়নি ।সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব প্রকাশ করেছি। যেহেতেু শিল্পীদের সংগঠনের নির্বাচন। তাই আমার ডিজিটাল পোস্টারগুলোকে শৈল্পিক করার চেষ্টা করেছি, এবং ভেটাররা তা ভালোভাবে গ্রহণও করেছে।নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
এবার ২০১৯-২০২১ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটিতে নির্বাচিত হতে লড়ছেন ছোটপর্দার একঝাঁক প্রিয়মুখ। ৫২ জন শিল্পী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্য থেকে সাধারণ ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হবেন ২১ জন। তাদের নিয়েই গঠিত হবে আগামী দু’বছরের জন্য নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি। নির্বাচনে বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারে ভোট দেবেন ৬০৬ জন শিল্পী। রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এদিন ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবারে সভাপতি পদে লড়ছেন তিনজন। তারা হলেন আশিকুল ইসলাম খান (তুষার খান), মিজানুর রহমান ও শহীদুজ্জামান সেলিম। তাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন একজন। তিনটি সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন আজাদ আবুল কালাম, আহসানুল হক মিনু, ইউজিন ভিনসেন্ট গোমেজ, ইকবাল লাবু, তানিয়া আহমেদ ও দিলু মজুমদার। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আহসান হাবিব নাসিম ও আবদুল হান্নান। দুটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়ার জন্য লড়ছেন আশরাফ কবীর, আনিসুর রহমান মিলন, আমিনুল হক আমিন, কামরুল হাসান (রওনক হাসান), সুমনা সোমা। এদিকে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত লুৎফর রহমান জর্জ। অর্থ-সম্পাদক হিসেবে একটি পদের বিপরীতে লড়ছেন নূর এ আলম (নয়ন) এবং মাঈন উদ্দিন আহমেদ (কোহিনূর)। দফতর সম্পাদক পদে লড়াইয়ে থাকা চার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, আরমান পারভেজ মুরাদ, গোলাম মাহমুদ, মেরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সম্পাদক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। তারা হলেন জিনাত সানু স্বাগতা, পাভেল ইসলাম ও রাশেদ মামুন অপু। এখান থেকে জয়ী হবেন যে কোন একজন।
আইন ও কল্যাণ সম্পাদকের একটি পদে লড়ছেন মম শিউলী (মমতাজ বেগম), শামীমা ইসলাম তুষ্টি ও শিরিন আলম। প্রচার ও প্রকাশনা পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন প্রাণ রায়, শফিউল আলম বাবু এবং শহিদ আলমগীর। একইভাবে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন সিরাজুল ইসলাম (মুলুক সিরাজ) ও সুজান হোসেন (সুজাত শিমুল)। কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে সাতজন নির্বাচিত হবেন। সেই পদে লড়াই করছেন খালেদ আহমেদ সালেহিন (রাজিব সালেহিন), জাকিয়া বারী মম, নুরুন জাহান বেগম, রেজাউল করিম সরকার (রেজাউল রাজু), বন্যা মির্জা, নাদিয়া আহমেদ, মাসুদ আলম তানভীর (তানভীর মাসুদ), মাহাদী হাসান পিয়াল, মুনিরা বেগম মেমী, ওয়াসিম হাওলাদার (ওয়াসিম যুবরাজ), জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী (জাহিদ চৌধুরী), মাহাবুবুর রহমান মোল্লা (নিথর মাহবুব), সনি রহমান, শামস ইবনে ওবায়েদ (শামস সুমন), আবদুর রাজ্জাক, সামসুন নাহার শিরিন (সূচনা সিকদার) ও সেলিম মাহবুব। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আহসান হাবিব নাসিম বলেন, আমি গেল মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে কখনও বিচ্যুত হইনি। চেষ্টা করেছি শিল্পীদের পাশে থাকার। আমি আশাবাদী নতুন মেয়াদেও নির্বাচিত হব। সেইসঙ্গে একটি চমৎকার পরিবেশে আনন্দ উৎসবে নির্বাচনের প্রত্যাশাও করছি।
এবিএন/উৎপল সর্বজ্ঞ/জসিম/রাজ্জাক
এ ব্যাপারে প্রান বলেন, এটা যেহেতু কোন রাজনৈতিক নির্বাচন নয়, তাই পোষ্টার বা হ্যান্ডবিল ছাপায়নি ।সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব প্রকাশ করেছি। যেহেতেু শিল্পীদের সংগঠনের নির্বাচন। তাই আমার ডিজিটাল পোস্টারগুলোকে শৈল্পিক করার চেষ্টা করেছি, এবং ভেটাররা তা ভালোভাবে গ্রহণও করেছে।নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
এই বিভাগের আরো সংবাদ