আজকের শিরোনাম :

ছয় মাসেই বন্ধ হলো ধারাবাহিক ‘আমি সিরাজের বেগম’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মে ২০১৯, ০০:৫২

চলতি বছরের মার্চে রানা সরকারের দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া থেকে হস্তান্তরিত হয়ে ভেঙ্কটেশ ফিল্মস’র তত্ত্বাবধানে যায় ‘স্টার জলসা’র ধারাবাহিক ‘আমি সিরাজের বেগম’। এই ইউনিটের শিল্পী-কলাকুশলীদের বকেয়া পেমেন্ট করেনি দাগ সি মিডিয়া। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম টালিউড পাড়া। সেই কারণেই মূলত হস্তান্তর হয় এই ধারাবাহিক। কিন্তু তারপরেও শেষ রক্ষা হল না।

রবিবার (১৯ মে) ছিল ধারাবাহিকটির শেষতম শুটিং। খুব জাঁকজমক করে শুরু হলেও মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই ধারাবাহিকটি বন্ধ হয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। ধারাবাহিকটি হতাশ অভিনেতা থেকে কলাকুশলী।

কি মনে করছেন ধারাবাহিকের অন্যতম অভিনেতা চান্দ্রেয়ী ঘোষ? তিনি বলেন, যেকোনও চরিত্রই যখন শেষ হয়ে যায় তখন খুবই কষ্ট হয়। এই চরিত্রটি (ঘসেটি বেগম) তো পরিচিত, ইতিহাসের পাতায় আছে তো সেটা নিয়ে খুবই মন খারাপ। আসলে আজকাল কিছুই আগে থেকে বলা যায় না, সব লাস্ট মোমেন্টে জানা যায়। আর ডিসিশনও হয় লাস্ট মোমেন্টে। এরকমই একটা সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি আর কী। আমি তো ২০ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে আছি, যখন শুরু করেছিলাম তখন একভাবে কাজ হতো এখন আর একভাবে কাজ হয়। তো মেনে নিয়েই চলতে হবে, কিছু করার নেই।

তিনি আরও বলেন, মানুষ হিসেবে বিগত ২০ বছরে আমিও হয়তো চেঞ্জ হয়েছি, তো ইণ্ডাস্ট্রিও বদলেছে। আমি আমার কাজ ভালোবাসি, কিছু যদি চেঞ্জও হয় তার সঙ্গেই চলতে হবে। আমি নিজের কাজ এতোটাই ভালোবাসি।

সিরাজের চরিত্রাভিনেতা শন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম কাজ। প্রথম কাজ এভাবে শেষ হয়ে যাওয়াতে তার প্রতিক্রিয়া কী? তিনি এতোটাই বিমূঢ় প্রথমে কথা খুঁজে পেতে অসুবিধা হল।

বলেন, আ...ম...আ... কী যে বলি! বিষয়টা খুবই... আ... হঠাৎ করে হয়ে গেল তো খুব খারাপ লাগছে। তবে এখানে অভিনয় করে আমার অনেক এক্সপিরিয়েন্স হয়েছে, অনেককিছু শিখতে পেরেছি। অ্যান্ড মেট আ লট অফ নাইস পিপল। সব মিলিয়ে এটা আমার জীবনের ভালো এক্সপেরিয়েন্স হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, টিমের সবাইকে অলরেডি খুব মিস করছি। তবে কো-অ্যাক্টরদের সঙ্গে কোনও না কোনও প্রোজেক্টে দেখা হবেই। ইণ্ডাস্ট্রি তো ছোট। যা হয়ে গেল সেটাকে অ্যাকসেপ্ট করে উই হ্যাভ টু মুভ অন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ