মোদিকে নিয়ে চলচ্চিত্র আটকে দিল নির্বাচন কমিশন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৩০

ভারতে লোকসভা নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’  মুক্তি দেওয়া যাবে না। মোদির বায়োপিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, লোকসভা নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি পাবে না মোদির বায়োপিক।

এই বিষয়ে গত মঙ্গলবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ভারতে লোকসভা ভোটের প্রথম দিনে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ মুক্তি পাবে কি না এ নিয়ে তাদের কিছু বলার নেই। এই বায়োপিক মুক্তির ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। আগামী কাল বৃহস্পতিবার ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। ওই চলচ্চিত্রে মোদির ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেতা বিবেক ওবেরয়।

অন্যদিকে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকেই ভারতে শুরু হচ্ছে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের আবহে এই ছবিকে ঘিরে অস্বস্তিকর কিছু ঘটুক তা চায় না নির্বাচন কমিশন। তাই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের মুখে মোদির বায়োপিক মুক্তি নিয়ে টানাপড়েন প্রথম দিন থেকেই চলছিল। প্রথমে ঠিক হয়েছিল এপ্রিল মাসে মুক্তি পাবে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’। কিন্তু তারপর তারিখ ঠিক ছিল না কবে মুক্তি দেওয়া হবে ছবিটি।

এরই মধ্যে মার্চে নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার পর ছবির নির্মাতারা জানান,  ৫ এপ্রিল মুক্তি পাবে ছবিটি। এর পরই শুরু হয় বিতর্ক। কংগ্রেসসহ একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফে বলা হয়, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর বায়োপিকের মুক্তি নির্বাচনের বিধিভঙ্গ করে। এ নিয়ে দিল্লি, মুম্বাই, এলাহাবাদসহ একাধিক হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। একাধিক মামলার জটাজালে পড়ে আটকে যায় ছবির মুক্তি।

 ছবির প্রযোজকদের নোটিসও পাঠানো হয়। এরই মধ্যে আবার নির্ধারিত দিনে ছবি মুক্তির আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ছবিটির প্রযোজকরা। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় এ প্রসঙ্গে তারা কোনো মতামত জানাবেন না। বিষয়টি যেহেতু সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন, তাই কমিশনই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও নির্বাচন কমিশনে এর আগে মোদির বায়োপিকের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা নিয়ে বিরোধী দলগুলো আবেদন জানিয়েছিল। ছবির নির্মাতাদের কাছে এ নিয়ে জবাবও চেয়েছিল কমিশন। কিন্তু তখন প্রযোজকরা জানিয়েছিলেন, গেরুয়া শিবিরের কারো কোনো সাহায্য ছাড়া সম্পূর্ণ নিজেদের টাকাতেই ছবি তৈরি হয়েছে৷ এরপর ধামাচাপা পড়ে যায় ইস্যুটি।

কিন্তু বিরোধীদের লাগাতার প্রতিবাদ ও জনস্বার্থ মামলা দায়েরের পর ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ইস্যুটি। যার ফলশ্রুতিতে ছবিটি মুক্তির ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি করে নির্বাচন কমিশন।

এবিএন/মমিন/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ