আজকের শিরোনাম :

‘ইনফিনিটি’ পুরস্কারে সম্মানিত শহিদুল আলম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:৫৯

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অব ফটোগ্রাফির বার্ষিক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) শহিদুল আলমের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘ইনফিনিটি অ্যাওয়ার্ড’।

শহিদুল আলমসহ যে পাঁচজন পুরস্কার পেয়েছেন তারা হলেন- জাদি স্মিথ (সমালোচনামূলক লেখা এবং গবেষণা), শহিদুল আলম (বিশেষ উপস্থাপনা); দাউদ বে (শিল্পকলা), জেস টি ডুগান (উদীয়মান শিল্পী) ও রোজালিন ফক্স সলোমন (আজীবন অর্জন)।

পুরস্কার গ্রহণ করে শহিদুল আলম বলেন, এ পুরস্কার আমার জন্য গৌরবের, একই সঙ্গে দেশের জন্যও। আমি মনে করি, এ পুরস্কার দিয়ে বাংলাদেশের আলোকচিত্রশিল্পকে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মান ও স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতার ব্যাপারে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে, দেশের মানুষ যে সংগ্রামী-স্বাধীনচেতা এটি বিশ্বে আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ পুরস্কার আমি নিজের জন্য পাচ্ছি না, বাংলাদেশিদের জন্য এটি গ্রহণ করছি।

অনুষ্ঠানে শহিদুল আলমকে ২০১৮ সালে টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব (পারসন অব দি ইয়ার), আলোকচিত্রী, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। শহিদুলের পরিচিতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আলোকচিত্রশিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আগে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমেস্ট্রিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮৪ সালে নিজ দেশে ফেরার পর তৎকালীন সেনাশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যুক্ত হন। এর পর সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি গড়ে তোলেন আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান দৃক পিকচার লাইব্রেরি, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট ও ছবি মেলা ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি ফেস্টিভাল।

শহিদুলের লেখা ‘মাই জার্নি অ্যাজ অ্যা উইটনেস’ সম্পর্কে লাইফ ম্যাগাজিনের কিংবদন্তি সম্পাদক জন মরিস ‘একজন ফটোগ্রাফারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড, ইয়েল ও স্টানফোর্ড এবং লন্ডনের অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও বক্তৃতা করেছেন। ২০১৮ সালে সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য শহিদুলকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয় বলেও উল্লেখ করা হয়।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ