আজকের শিরোনাম :

মোশাররফ-কচির ‘ওরে বাবা মান সম্মান’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০১৮, ২১:৫৩ | আপডেট : ৩১ মে ২০১৮, ১১:৪৭

ঢাকা, ৩০ মে, এবিনিউজ : গুণী অভিনেতা-নির্মাতা কচি খন্দকার। বরাবরই ব্যতিক্রম গল্প নিয়ে নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণ করে থাকেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার নির্মাণ করলেন ‘ওরে বাবা মান সম্মান’।

নাটকটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার।  

নাটকের গল্প প্রসঙ্গে কচি খন্দকার বলেন, ‘আমি মফস্বলের ছেলে। তাই বরাবরই আমার নাটকের গল্পটি মফস্বলকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে। এ নাটকের গল্পটিও মফস্বলের। গল্পে দুই ভাই মো. মান্নান ও মো. হান্নান।

হান্নানের অনেক বেশি মান সম্মান। মান সম্মানের কারণে সে কিছুই করতে পারে না। এজন্য জীবনে সে একটি প্রেমও করতে পারেনি। এমন ব্যতিক্রম স্বভাবের হওয়ার কারণে এলাকার আরেক ব্যক্তি তাকে দীর্ঘ সময় পর্যবেক্ষণ করে।

এক সময় সে বুঝতে পারে, অতিরিক্ত মান সম্মানের কারণে হন্নান কিছুই করতে পারছে না। তারপর তাকে সংশোধন করে এবং বলে, এত মান সম্মান নিয়ে মানুষ বাঁচতে পারে না। এরপর তাকে স্বাভাবিক এবং জীবনমুখী করে।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘মো. মান্নান ও মো. হান্নানের নামের শেষে দন্তন্য থাকারও একটি কারণ রয়েছে। গল্পে দেখা যায়, তাদের দাদার নাম মো. তুফান, বাবার নাম শাহজাহান। এটা তাদের পৈতৃক ঐতিহ্য। সম্মান শব্দের সঙ্গে দন্তন্য-এর একটা সম্পর্ক রয়েছে।

আর তা ধরে রাখতেই তারা নামে দন্তন্য ব্যবহার করে। তাছাড়া এলাকায় একটি মেয়ে আসে। ওই মেয়েটিকে বড় ভাই মান্নান পছন্দ করে। এ নিয়ে ছোট ভাই হান্নান সমস্যা তৈরি করে। এরপর নানারকম হাস্যরসাত্মক ঘটনাও ঘটে। তবে বাকিটা জানার জন্য ঈদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’

ঈদ উপলক্ষে এমন গল্প বেছে নিলেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে কচি খন্দকার বলেন, ‘গতানুগতিক গল্পের চেয়ে ব্যতিক্রম গল্প সবসময়ই দর্শক পছন্দ করেন।

এই নাটকের মাধ্যমে দর্শকের সেই প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করেছি। কেরাম, কবি, বাই সাইকেল, ভূগোল, লিটল ম্যাগ, খুসরু+ময়না প্রভৃতি নাটকের তালিকায় এবার এই নাটকটির নাম যোগ হতে যাচ্ছে।

নাটকটি দেখে মানুষ বিনোদন পাবেন। পাশাপাশি মানুষের কেমন আচরণ করা উচিৎ সেই উপলব্ধিও হবে। মান সম্মান কখনো কখনো মানুষকে তার লক্ষ্য থেকে আলাদা করে দিতে পারে। আসলে সব কিছুতেই একটা সীমাবদ্ধতা থাকা দরকার।

জীবনে কোনো কিছুই অতিরিক্ত, অতিরঞ্জিত ভালো না। অতি বাঙালি আমাদের ক্ষতি করেছে, অতি জাতীয়তাবাদ ক্ষতি করেছে, অতি কমরেড ক্ষতি করেছে, অতি ধর্মান্ধতাও ক্ষতি করেছে। অতিরিক্ত কিছু করলেই তার কু প্রভাব পড়ে, মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখেই এমন গল্প বেছে নিয়েছি।’

নাটকটির গল্পে মো. মান্নান চরিত্রে অভিনয় করেছেন কচি খন্দকার। হান্নান চরিত্রে মোশাররফ করিম। পর্যবেক্ষণ করা ওই ব্যক্তির চরিত্রে আছেন শহীদুল্লাহ। আর মেয়েটির চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী হিমিকে। সম্প্রতি নাটকটির দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে। ঈদুল ফিতরে গাজী টেলিভিশনে নাটকটি প্রচারিত হবে।

এবিএন/নির্মল/জসিম/এনকে

এই বিভাগের আরো সংবাদ