পাঁচ যৌনকর্মী সুযোগ পেলেন বড় পর্দায়

আমাদের চেনা জগতের সমান্তরালে রয়েছে একটা অন্য জগৎ। সে দুনিয়া দেহোপজীবিনীদের। আজকাল যাদের বলা হয় যৌনকর্মী।

এখন পযন্ত যৌনপল্লী নিয়ে কত সিনেমাই হয়েছে। কিন্তু নবীন পরিচালক সৌম্যদীপ ঘোষ চৌধুরী তার জীবনের প্রথম ফিচার ছবি ‘দ্য ওপেন সিক্রেট’-এ চেষ্টা করেছেন সেই দুনিয়ার আখ্যানকে নতুন এক মাত্রা দিতে। এক সময়ে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরিচালনায় এসেও ছবির গল্পে খুঁজে দেখেছেন বাস্তব দুনিয়ার ছবিকে।

তার ছবির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে চার যুবক-যুবতীকে নিয়ে। তারা ফিল্মের ছাত্র। কলকাতার যৌন কর্মীদের নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি করতে চায় তারা। আর সেই ডকুমেন্টরির শ্যুটিং করতে সোজা হাজির হয়ে যায় যৌনপল্লীতে। মুখোমুখি হয় এতদিন অদেখা ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর পৃথিবীর। নিজেদের এত দিনের সমস্ত মূল্যবোধ যেন ভেঙেচুরে যেতে থাকে। সমাজের বুকের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভণ্ডামিকে প্রত্যক্ষ করে তারা।

সৌম্যদীপ জানান, এই ছবিতে তরুণ অভিনেতাদের পাশাপাশি পাঁচজন যৌনকর্মীও অভিনয় করেছেন। আসলে তো ‘অভিনয়’ নয়। নিজেদের সত্যি জীবনের বেদনাময় অভিজ্ঞতাই তারা তুলে ধরেছেন ছবিতে।

মনিকা মোহনত প্রযোজিত এই হিন্দি ছবি এবারের কলকাতা ফিলম ফেস্টিভ্যালে নমিনেশন পেয়েছে। সে বিষয়ে বলতে গিয়ে ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর শাহির রাজ জানান, এ জন্য তারা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। টেকনিক্যাল সমস্যায় ছবির প্রদর্শন আচমকাই বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। অরিন্দম শীল নিজে বিষয়টি দেখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেন। পরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সরাসরি হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটে যায়।

ছবির শ্যুটিংয়ের কথা বলতে গিয়ে সৌম্যদীপ জানান, ছবির শ্যুটিংয়ে আসা এক যৌনকর্মীর কথা। যিনি বলছিলেন, ভালোবাসাই পারে সমস্ত কিছুকে ঠিক করে রাখতে। সকলেরই উচিত একে অপরের সঙ্গে ভালাবাসায় জড়িয়ে থাকা।

কেবল ‘শরীর, শরীর’ নয়, এই অন্ধকার দুনিয়ার মানবীদেরও যে ‘মন’ রয়েছে সেটাই যেন ছবির পরতে পরতে ধরতে চেয়েছেন তিনি। ছবির বাকি ‘সিক্রেট’ জানতে যে ছবিটি দেখতেই হবে, সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন সৌম্যদীপ।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি