আজকের শিরোনাম :

ডিডোর চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ড’ জিতল টুসির ‘মীনালাপ’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৩৯ | আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:১৯

কাজাখস্তানে ১৪তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গ্রান্ডপিক্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্তির পর এবার তাজাকিস্তানেও অনুষ্ঠিত অষ্টম ডিডোর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে বাংলাদেশি নির্মাতা সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি’র স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মীনালাপ’।  

গত ১৬ থেকে ২০ অক্টোবর পাঁচ দিনব্যাপী তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশাম্বে-তে অনুষ্ঠিত অষ্টম ডিডোর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০১৮ আসরের সমাপণী দিনে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। পুরস্কারের Citation-এ এই পুরস্কার প্রদানের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, For the cinematic reflection of the idea of humanism ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-র প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য এবং পরিচালনা করেছেন সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি।

পরিচালক সুবর্ণা সেঁজুতি জানান, ২৮ মিনিট দৈর্ঘ্যরে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মীনালাপ’ চলচ্চিত্রটির গল্প গড়ে উঠেছে বাঙালি এক দম্পতিকে ঘিরে এবং আশায় আবর্তিত শহুরে নিঃসঙ্গ জীবনের মুহূর্তগুলো নিয়ে।  পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে পুনে শহরে আসা গার্মেন্টসে কর্মরত একটি বাঙালি দম্পতির অনাগত সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগ-মুহূর্তগুলো চলচ্চিত্রটিতে উঠে এসেছে।  ভাগ্যের অন্বেষণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে পরিবারটি পুনে শহরে চলে যায়। সেখানে এক গার্মেন্ট কারখানায় এই দম্পতি কাজ নেয়। নতুন শহরে তাদের নতুন সংগ্রাম, নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন।

এর আগেও চলতি বছরের ৬ জুলাই কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত ১৪তম ইউরেশিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে গ্রান্ডপিক্স পুরস্কার অর্জন করে ‘মীনালাপ’ চলচ্চিত্রটি। যা ছিল প্রথম এই উপমহাদেশের কোনো নির্মাতার চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হওয়া।

‘মীনালাপ’ চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণ করেছেন অর্চনা গাঙ্গরেকর। শব্দগ্রহণে স্বরূপ ভাত্রা, শিল্প নির্দেশনায় হিমাংশী পাটওয়াল এবং সম্পাদনায় ছিলেন ক্ষমা পাডলকর। চলচ্চিত্রটি ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া’র প্রযোজনায় নির্মিত। ‘মীনালাপ’ চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিতাস দত্ত, প্রমিত দত্ত, বিবেক কুমার এবং দেভাস দীক্ষিত।

সুবর্ণা সেঁজুতি, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে টুসি নামেই বেশি পরিচিত। ছোটবেলা থেকে জড়িত ছিলেন মঞ্চ নাটকের সঙ্গে।  সাংবাদিকতা করেছেন।  টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা আর গ্রন্থনার কাজ করেছেন।  তিনি নাটক ও চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্টও লিখেছেন।  বাংলাদেশে পড়াশোনা করেছেন অর্থনীতি বিষয়ে।  

ভারতে পুনে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে ফিল্ম ডিরেকশন ও স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ের ওপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেছেন।  সুবর্ণা সেঁজুতি এর আগে আরও কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন। ছবিগুলো হলো- জাদু মিয়া (২০১১), পারাপার (২০১৪) ও পুকুরপার (২০১৮)।  তার নতুন ছবির নাম ‘মীনালাপ’।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ