আজকের শিরোনাম :

সব নারীর জন্যই কাজের জায়গা নিরাপদ করতে হবে: সাইফ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ২০:০৩

ভারতজুড়ে এখন চলছে যৌন নিপীড়নবিরোধী ‘হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন’। এর আগেও হেনস্তাকারীদের নিন্দা জানিয়েছিলেন বলিউড তারকা সাইফ আলি খান। এবারও নিন্দা জানিয়ে বললেন, তাঁর পরিবার এ ধরনের হেনস্তা থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ।

দিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাইফ আলি খান বলেন, ‘সমাজ ভীষণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আমি মনে করি না, কেউ আমার পরিবারের লোকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে... আমি জানি না, কেন এমন মনে হয় আমার। আমার মা বা বোন বা স্ত্রীর সঙ্গে কেউ এমন করার সাহস পাবে না বলেই মনে করি।’

অভিনেত্রী করিনা কাপুরের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর সাইফ আলি খান তৈমুরের বাবা হন। অন্যদিকে, তাঁর প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের সন্তান সারা আলি খান বলিউডে অভিষেকের জন্য প্রস্তুত।

কিছুদিন আগে মিটু আন্দোলন প্রসঙ্গে সাইফ বলেন, কাজ দেওয়ার নামে অনেকে মেয়েদের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছে আর তাঁদের কেউ রক্ষা করছে না, এটা ভয়াবহ ব্যাপার। তিনি এ-ও বলেন, মেয়ে সারার সঙ্গে কেউ বাজে আচরণ করলে তাঁর মুখে ঘুষি মারবেন।

ভারতের সংবাদমাধ্যম আইএএনএসকে সাইফ আলি খান বলেন, সব নারীর জন্যই কাজের জায়গা নিরাপদ করতে হবে।

‘মিটু ঝড় স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশের ধারণা নিয়ে আসে। আমাদের এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, যেখানে নারীরা অবিলম্বে অভিযোগ জানাতে যথেষ্ট নিরাপদ বোধ করবে এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করা হবে। আশা করি, মিটু আন্দোলন ফুরিয়ে যাবে না এবং এটি প্রত্যেকের জন্য স্বস্তিকর কাজের পরিবেশ তৈরি করবে।’

কিছুদিন আগে বেশ কয়েকজন নারী পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন। এ জন্য ‘হাউসফুল-৪’ থেকে নিজেকে গুটিয়েও নেন। ২০১৪ সালে ‘হামসকলস’ ছবিতে সাজিদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন সাইফ আলি খান। অভিনেত্রী বিপাসা বসুও সাজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বলেন, ‘সাজিদ প্রকাশ্যে নোংরা কৌতুক বলতেন এবং সব মেয়ের সঙ্গেই খুব অভদ্র আচরণ করতেন।’

‘হামসকলস’-এর দিনগুলোর কথা স্মরণ করে সাইফ পিটিআইকে বলেন, ‘আমার সত্যিই মনে পড়ে না এমন কোনো ঘটনা ঘটেছিল কি না। আমার সামনে এমন হলে আমি একেবারেই এই পরিবেশে কাজ করতে পারতাম না।’

গত মাসে বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন সাবেক বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। তাঁর অভিযোগ, এক দশক আগে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির শুটিং চলাকালে নানা তাঁকে হেনস্তা করেছিলেন। এর পরই শুরু হয় মিটু আন্দোলন। অলোক নাথ, সুভাষ ঘাই, বিকাশ বেহল ও অন্যান্য বিখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের নাম উঠে আসে হেনস্তাকারীর তালিকায়।

প্রায় প্রতিদিনই বিনোদন জগতের কেউ না কেউ তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া হেনস্তার গল্প বলছেন। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে সবার নিরাপত্তা জরুরি। 

এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ