আরিয়ানকে আটক করা সেই কর্মকর্তাই এখন গ্রেফতার আতঙ্কে!
এনডিটিভি
২৫ অক্টোবর ২০২১, ১৭:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
গত ২ অক্টোবর বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খানকে আটক করেন ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এনসিবি) অন্যতম তদন্তকারী অফিসার সামির ওয়াংখেড়ে।
এরপর থেকেই নানাভাবে সমালোচিত হচ্ছেন এই কর্তা। সম্প্রতি আরিয়ানের মাদক কাণ্ডে ঘুষ নেওয়া ও দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর এখন তিনি নিজেই ভুগছেন গ্রেফতার আতঙ্কে।
অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য জোগাড়ের চেষ্টা করেছেন তিনি। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে এনসিবি। সামিরের বিরুদ্ধে অনেকেই আইনি পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আশঙ্কায় ভুগছেন এনসিবির এই জোনাল হেড। যে কারণেই সুরক্ষা চাইতে গতকাল (২৪ আগস্ট) মুম্বাই পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর আজ আদালতের দ্বারস্থ হলেন সামির।
এদিন এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার পরিবার, বোন, এমনকি মৃত মাকেও নিশানা করা হচ্ছে। যেকোনও ধরনের তল্লাশির জন্য আমি রাজি। ১৫ বছর ধরে কাজ করছি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত জীবন আর কাজ নিয়ে এমন অভিযোগ এর আগে কখনও ওঠেনি।’
এই মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর শৈল গতকাল দাবি করেছেন প্রমোদতরিতে তল্লাশি চালানোর দিন এনসিবি তার মালিক কিরণ গোসাভিকে দিয়ে ১০ পাতার একটি ফাঁকা দলিলে সই করিয়ে নেয়। তার বক্তব্য, ‘আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যের বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ টাকার প্রস্তাব এসেছিল সামির কাছ থেকে।’
এই অভিযোগটি তিনি জানিয়েছেন মুম্বাইয়ের পুলিশ কমিশনারের দফতরে। প্রভাকর এই মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভির দেহরক্ষীও। যাকে এনসিবির হেফাজতে আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকেই কিরণ লাপাত্তা।
এরপর ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তার দেহরক্ষী প্রভাকর। তিনি তার দেওয়া হলফনামায় বলেন, ‘কিরণ আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে তাকে ১৮ কোটি টাকা দেওয়া হবে, তদন্তকারী অফিসার সামির ওয়াংখেড়ের তরফে এমন প্রস্তাব এসেছিল।’
সামির ওয়াংখেড়েকেকে বলা হয় মাদক নিয়ন্ত্রণের ‘নায়ক’। তবে তার কাজে বহুবার হয়েছে সমালোচনা। বিশেষ করে বলিউডের প্রতি তার ব্যক্তিগত আক্রোশ রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। এমনকি তার অভিনেত্রী স্ত্রী বলিউডে স্থান পাননি বলেই সামির এ বিষয়ে একরোখা বলে গুজবও আছে।
মাদক অভিযান ছাড়াও এর আগে নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত সামির। ২০১১ সালে আমদানি শুল্ক না দেওয়ায় মুম্বাই বিমানবন্দরে আটকে দেন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি। শেষ পর্যন্ত শুল্ক মিটিয়ে ট্রফি ছাড়াতে হয়।
একই বছর অতিরিক্ত শপিং করে দেশে ফেরায় শাহরুখ খান ও তার স্ত্রী গৌরি খানকে দিনভর জেরা করেছিলেন সামির। এরপর জরিমানা দিয়ে বিমানবন্দর থেকে ছাড়া পান তারা।
২০১৩ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে ওয়াংখেড়ের হাতে বিদেশি মুদ্রাসহ ধরা পড়েন গায়ক মিকা সিং। এছাড়া অনুরাগ কাশ্যপ, বিবেক ওবেরয়, রামগোপাল ভার্মাদের বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির মামলাতেও তল্লাশি চালিয়েছেন সামির। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে মাদক নিয়ে তদন্ত করেন তিনি। রীতিমতো ঝড় তুলে দেন এই ইস্যুতে পুরো ভারতে। তার দফতরে আসতে হয়েছে দীপিকা পাড়ুকোন, কঙ্গনা রনৌতসহ অনেককে।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ