সরকারের ঘোষিত ২১ প্রণোদনা প্যাকেজে যা থাকছে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৫১
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। তবে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। এরইমধ্যে দেশের মানুষের জীবন বাঁচাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, জনগণকে সচেতন করা, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া কঠিন এ সময়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় সরকার।
দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে এখন পর্যন্ত মোট এক লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার (জিডিপি’র ৪ দশমিক ৩ শতাংশ) ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। বিভিন্ন খাতে এসব প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া হচ্ছে।
১. রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বিশেষ তহবিল (মোট বরাদ্দ ৫ হাজার কোটি টাকা)।
২. ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা প্রদান (মোট বরাদ্দ ৩৩ হাজার কোটি টাকা)।
৩. ক্ষুদ্র (কুটির শিল্পসহ) ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা প্রদান (মোট বরাদ্দ ২০ হাজার কোটি টাকা)।
৪. বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত ইডিএফ-এর সুবিধা বাড়ানো (মোট বরাদ্দ ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা)।
৫. Pre-shipment Credit Refinance Scheme (মোট বরাদ্দ পাঁচ হাজার কোটি টাকা)।
৬. চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ সম্মানি (১০০ কোটি টাকা)।
৭. করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথবা মৃত্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ (৭৫০ কোটি টাকা)।
৮. বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ (মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা)।
৯. ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রয় (মোট বরাদ্দ ২৫১ কোটি টাকা)।
১০. লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ (মোট বরাদ্দ ১ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা)।
১১. ভাতা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি (মোট বরাদ্দ ৮১৫ কোটি টাকা)।
১২. গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহ নির্মাণ (মোট বরাদ্দ ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা)।
১৩. বোরো ধান/চাল ক্রয় কার্যক্রম (মোট বরাদ্দ ৮৬০ কোটি টাকা)।
১৪. কৃষি কাজ যান্ত্রিকীকরণ (৩২ হাজার ২২০ কোটি টাকা)।
১৫. কৃষি ভর্তুকি (৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা)।
১৬. কৃষি পুন:অর্থায়ন স্কীম (মোট বরাদ্দ পাঁচ হাজার কোটি টাকা)।
১৭. নিম্ন আয়ের পেশাজীবী কৃষক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম (মোট বরাদ্দ তিন হাজার কোটি টাকা)।
১৮. কর্মসৃজন কার্যক্রম (পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং পিকেএসএফ এর মাধ্যমে ২ হাজার কোটি টাকা)।
১৯. বাণিজ্যিক ব্যাংকসমুহের এপ্রিল-মে/২০২০ মাসে স্থগিতকৃত ঋণের আংশিক সুদ মওকুফ বাবদ সরকারের ভর্তুকি (২ হাজার কোটি টাকা)।
২০. Credit Risk Sharing Scheme (CRS) for SME Sector (দুই হাজার কোটি টাকা)।
২১. রফতানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকাশিল্পের দুস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন (১ হাজার ১৩২ কোটি টাকা)।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এক হাজার ৯৭৬ পৃষ্ঠার নির্দেশনা জারি করেছে। এসব নির্দেশনা বই আকারে পাঁচটি ভলিউমে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে জনগণের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি বিষয়ে তিনি সার্বক্ষণিক খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। নির্দেশনাগুলো সংরক্ষণ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকারের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতেও কাজে লাগতে পারে। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে এসব নির্দেশনা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এবিএন/ইমরান/জসিম/এসই
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এক হাজার ৯৭৬ পৃষ্ঠার নির্দেশনা জারি করেছে। এসব নির্দেশনা বই আকারে পাঁচটি ভলিউমে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে জনগণের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি বিষয়ে তিনি সার্বক্ষণিক খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। নির্দেশনাগুলো সংরক্ষণ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকারের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতেও কাজে লাগতে পারে। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে এসব নির্দেশনা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এবিএন/ইমরান/জসিম/এসই
এই বিভাগের আরো সংবাদ