আজকের শিরোনাম :

করোনাকালেও রেকর্ড রেমিট্যান্স, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও সর্বোচ্চ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২০, ২০:২৯

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে কাজ হারিয়েছেন অনেক প্রবাসী। এরপরও কমেনি রেমিট্যান্সের পরিমাণ, এ মাসেও রেকর্ড গড়লেন প্রবাসীরা।  করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২৬০ কোটি (২.৬ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে এত বেশি রেমিটেন্স আগে কখনই আসেনি।

শুধু এ মাসটিতেই রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগে সর্বোচ্চ ছিল গত জুনে ১ দশমিক ৮৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আজ সোমবার অর্থমন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনার মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কঠিন সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে। এক্ষেত্রে দেশ ও পরিবারের প্রতি তাদের ভালোবাসা এবং দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অর্থনীতির চাকাকে বেগবান রাখতে বড় অবদান রাখছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স।

অর্থমন্ত্রণালয় বলছে, প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।

রেমিট্যান্সের এই প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও। দেশের ইতিহাসে এযাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত ৩০ জুন ২০২০ তারিখে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬ দশমিক ০১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে যেটি ছিল সর্বোচ্চ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেটি পৌছেছে ৩৭ দশমিক ২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ডে।

প্রসঙ্গত, রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহ।

রেমিট্যান্সে দেশের এ অনন্য রেকর্ডে প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গত অর্থবছরের শুরু থেকে প্রবাসীদের প্রেরিত আয়ের উপর ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত আছে যার ফলে গতবছর ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি অর্থবছরে ৩-৫ বিলিয়ন ডলার বাড়তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। 

সামনের দিনে রেমিট্যান্স বৈধ পথে আনতে যত কৌশল অবলম্বন করতে হয় তারও উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রবাসীদের রয়েছে দেশের প্রতি অকৃতিম ভালোবাসা আর মমত্ববোধ। তাদের টাকা প্রেরণে যত বাধা রয়েছে সেগুলো দূর করা হবে। 

উল্লেখ্য যে, চিকিৎসার ফলোআপের পরে লন্ডন থেকে আজ সকালে অর্থমন্ত্রী ঢাকায় ফিরে নিয়মিত দাপ্তরিক কাজকর্ম শুরু করেছেন। 

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ