আজকের শিরোনাম :

দেশে বৈধভাবে প্রথম সোনার চালান আনল ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২০, ১১:০৮

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সোনা আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথম চালানে মঙ্গলবার রাতে ১১ কেজির সোনা আমদানি করেছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড।

স্বাধীনতার ৪৮ বছরের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ২০১৮ সালে এ দেশের জুয়েলারি শিল্পের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ স্বর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়, যা স্বর্ণ নীতিমালা ২০১৮ নামে অবহিত এ জন্য জুয়েলারি ইতিহাসে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের জুন মাসে স্বর্ণ মেলার আয়োজন করা হয়, যা সাধারণ জুয়েলার্স গণের রক্ষাকবচ বলে বিবেচিত। স্বর্ণ নীতিমালায় দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য স্বর্ণ আমদানির জন্য গোল্ড ডিলার নিয়োগের বিধান রাখা হয়। বিধিমতে গোল্ড ডিলার নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সাকুর্লার দেয়। এই সাকুর্লারে আনুমানিক ৫০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক আবেদন করলেও সব শর্ত পূরণ না হওয়ায় মাত্র ১ ব্যাংক ও ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে নবায়ন যোগ্য দুই বছর মেয়াদি লাইসেন্স প্রদান করা হয়। কিন্তু বিদ্যমান শুল্ক জটিলতার কারণে লাইসেন্স পাওয়ার ৬ মাসের মধ্যেও কোনো প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। 

সর্বশেষ (২০২০-২১) মেয়াদের বাজেটে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি পর্যায়ে স্বর্ণে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়। ফলে চলতি বছরের ১০ জুন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড তাদের গোল্ড ডিলারশিপের অনুকূলে ১১ হাজার গ্রাম (১১ কেজি) পাকা সোনা আমদানির জন্য আবেদন করে। আবেদনটি যাচাই-বাছাইপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংক অনাপত্তি প্রদান করলে দেশের ইতিহাসে পূর্ণাঙ্গ স্বর্ণ নীতিমালার বিধান অনুসরণ করে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড গত ৩০ জুন স্বর্ণ আমদানি করে।

অ্যামিরেটস এয়ালাইন্সের একটি বিশেষ বিমান সোনার চালানটি নিয়ে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফলে এ দেশের ইতিহাসে একটি সোনালি অধ্যায়ের শুভসূচনা হলো। এর আগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএম৪ এর মাধ্যমে রাফ বা অমসৃণ ডায়মন্ড আমদানি করে কাটিং ও পলিশিং করে পলিশড ডায়মন্ড বিদেশে রফতানি করে।

এ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এফবিসিসিআইয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান সব সময়ে চেষ্টা করি সেরাটি উপহার দিতে। প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়ার জন্য নয়। আমি এই অজর্নের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট-এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতিসহ (বাজুস) সংশ্লিষ্ট সবাইকে। 

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ