১ লাখ টাকার ঋণের দুই মাসের সুদ মওকুফ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২০, ০৯:৩৭
করোনাভাইরাসে সৃষ্ট ব্যবসায়িক মন্দা পরিস্থিতিতে দুই মাসের স্থগিত করা ঋণের সুদ আদায়ের হার ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের এপ্রিল ও মে মাসের সুদ সম্পূর্ণ মওকুফ করা হয়েছে। তবে বিদেশি ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের ঋণগ্রহীতারা এ সুবিধা পাবেন না।
এ ছাড়া ঋণের স্থিতি এক থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে বার্ষিক ২ শতাংশ হারে এবং ১০ লাখ টাকার বেশি ঋণের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে সুদ মওকুফ হবে। তবে একজন গ্রাহকের মওকুফ করা সুদের পরিমাণ ১২ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না।
রবিবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের এই নির্দেশনা পাঠিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।
মওকুফ করা সুদের টাকা সরকার ভর্তুকি হিসেবে ব্যাংকগুলোকে দেবে। ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হার ৯ শতাংশ ধরে এ হিসাব করতে হবে। বাকি সুদ চলতি বছরের জুলাই থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে কিস্তিতে গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে ব্যাংক।
এক লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণের ক্ষেত্রে সুদের ২ শতাংশ মওকুফ হওয়ায় বাকি ৭ শতাংশ গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে। আর ১০ লাখ টাকার বেশি ঋণের ক্ষেত্রে সুদের ৮ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় লকডাউন, ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়। দুই মাসের ওই ঘরবন্দি দশার পর মে মাসের শেষে সব খুলে দিয়ে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়।
লকডাউনের মধ্যে গত ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, তাদের ব্যাংক ঋণের সুদের বোঝা লাঘবে পদক্ষেপ সরকার নেবে।
এর ধারাবাহিকতায় ৩ মে এক সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণের সুদ আদায় দুই মাস (এপ্রিল ও মে) স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
স্থগিত থাকা সেই সুদ এখন কতটা কীভাবে আদায় করা যাবে, সেই নির্দেশনা দিয়ে বুধবার নতুন এই সার্কুলার জারি করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ