আজকের শিরোনাম :

বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সামগ্রির মূল্য বৃদ্ধির আহ্বান তোফায়েলের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০১৮, ১৭:৩১

ঢাকা, ১৭ জুলাই, এবিনিউজ : বিদেশের বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক সামগ্রির মূল্য বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিসহ তৈরি পোশাক কারখানার কাজের পরিবেশ ও মান উন্নয়ন করলেও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সামগ্রির মূল্য বাড়েনি।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব রিমেডিয়েশন কোঅর্ডিনেশন সেল (আরসিসি): শেয়ারিং প্রগ্রেস এ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্নিকাট, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম মন্ত্রনালয়ের সচিব আফরোজা খান।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।

বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একর্ড ও এলায়েন্স-এর মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে অন্তবর্তিকালের জন্য তাদেরকে ৬ মাস সময় দেয়া হয়েছে। এটা আর বৃদ্ধি করা হবে না। এ বছরের ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাদেরকে চলে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, রানা প্লাজা দূর্ঘটনার পর আর কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি। সরকার তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। মালিক- শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, বিভিন্ন সমস্যা দূর করা হয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারাখান গ্রিন ফ্যাক্টরিতে পরিণত হতে চলেছে। ইতিমধ্যে শিশুশ্রমের সমস্যা দূর হয়েছে। দেশের শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে। মজুরি কমিশনের মাধ্যমে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, “সংস্কার সমন্বয় সেল (আরসিসি) যথেষ্ট কার্যক্ষম ও দক্ষ। একর্ড ও এলায়েন্স-এর পরে ‘আরসিসি’ দায়িত্ব পালন করবে। ‘আইএলও’ এক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে।”

স্মৃতিচারন করে তিনি বলেন, শূন্য হাতে আমাদের দেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতার পর ২৫টি রপ্তানি পন্য থাকলেরও প্রধান তিনটি ছিল- পাট, চা ও জনশক্তি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতা অর্জন ও সোনার বাংলা গঠন। বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রূপকল্প- ২০২১ বাস্তবায়ন হচ্ছে।

স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির তুলে ধরে বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। পরমানু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলছে।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ- এর আওতাধীন ১ হাজার ৫৪৯টি রপ্তানীমুখী পোশাক কারখানার সংস্কার কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ভবনের কাঠামোগত বিষয়ে দেখভাল করা, অগ্নি এবং বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ২০১৭ সালের ১৪ মে সংষ্কার সমন্ময় সেল (আরসিসি) গঠন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘একর্ড এবং এলায়েন্স এর নির্ধারিত ২ হাজার ৫৫৯টি কারখানাগুলো সংস্কার কাজ ইতোমধ্যে প্রায় শতভাগ সম্পন্ন করেছে। ব্যান্ড বায়ারদের সংগঠন এলায়েন্স এর বাংলাদেশ প্রধান জন এফ মারিয়ারটি অনেক আগে ঘোষণা করেছেন কারখানা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশে^র রোল মডেল।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনযায়ি আগামী ডিসেম্বরের পর একর্ড ও এলায়েন্স এদেশে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে না। আরসিসি একর্ড ও এলায়েন্স-এর দায়িত্ব পালন করবে।’ বাসস।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ