আজকের শিরোনাম :

ফের বাড়ছে আদার ঝাঁজ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মে ২০২০, ১৩:৫৪

ঢাকা ও চট্টগ্রামে অভিযানের পর অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া আদার দাম কিছুটা কমলেও তা বেশি দিন স্থির হয়নি। সপ্তাহ না ঘুরতেই আবার বাড়তে শুরু করেছে আদার দাম।

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজিতে দেশি আদার দাম বেড়ছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। আদার পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে বেড়েছে বড় দানার মশুর ডাল, জিরা, বয়লার মুরগি ও শুকনা মরিচের দাম।

করোনার প্রকোপের মধ্যে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজির মাধ্যমে আদার দাম অস্বাভাবিক করে তোলে। একশ টাকারও কম দামে কেনা আদার দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে সাড়ে তিনশ টাকায় তোলা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে দাম নিয়ন্ত্রণে ঢাকার শ্যামবাজার ও মিরপুর শাহ আলী বাজার এবং চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালায় সংশ্লিষ্টরা। এতে গত সপ্তাহে সাড়ে তিনশ টাকা থেকে কমে আদার কেজি ১৫০ টাকায় চলে আসে।

তবে সপ্তাহ না ঘুরতেই আবার আদার দাম বাড়েতে শুরু করেছে। অবশ্য এখন শুধু দেশি আদার দাম বাড়ছে। সরবরাহ না থাকায় দেশি আদার এ দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (১০ মে) বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১৪০-১৫০ টাকা। আর রোজার শুরুর দিকে ছিল ২৫০-৩০০ টাকা। দেশি আদার দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা আদার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা। অবশ্য রোজা শুরুর আগে এ আদার কেজি ৩৫০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবির) তথ্যেও সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি আদার দাম বাড়ার চিত্র উঠে এসেছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে আমদানি করা আদার দাম।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, খুচরা বাজারে দেশি আদার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানিকরা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা আদার দাম কমেছে ২১ শতাংশ।

এদিকে টিসিবির হিসাবে গত এক সপ্তাহে বড় দানার মশুর ডালের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিরার দাম বেড়ছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। বয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৩০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এছাড়া দেশি শুকনা মরিচের দাম ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং আমদানি করা আদার দাম ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ