আজকের শিরোনাম :

রাজধানীর যেসব শপিংমল খুলছে আজ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মে ২০২০, ১০:০৭

দেড় মাস ধরে টানা বন্ধ থাকার পর খুলতে যাচ্ছে বেশ কিছু দোকান, বিপণি বিতান ও শপিংমল। ফলে রবিবার (১০ মে) থেকে পাল্টে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকার দৃশ্যপট।

দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আরও বেড়ে গেছে, আগের তুলনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। তারপরেও চলমান রমজান, আসন্ন ঈদ ইত্যাদির কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষ সীমিত পরিসরে দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।

এই নির্দেশনা অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এরইমধ্যে নিজেদের বেশিরভাগ আউটলেট খোলার ঘোষণা দিয়েছে দেশীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং ও বাংলাদেশের জুতা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্স ও বাটা।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় রাজধানীর মধ্যবিত্তদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য নিউমার্কেটসহ বন্ধ থাকবে মিরপুর এলাকার সব দোকান।

তবে খুলবে হাতিরপুলের ইস্টার্ন প্লাজা, এলিফ্যান্ট রোডের সব দোকান। খোলা হবে রাজধানীর গুলশান ১ ও ২ নম্বর সেকশনের ডিনসিসি মার্কেট এবং গাজী শপিং কমপ্লেক্সও। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও দোকান ও মার্কেট মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে নিউ মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগে হলেও শনিবার সকালে চাঁদনী চক, গাউছিয়া, ইস্টার্ন মল্লিকার মতো মার্কেটগুলো খোলার প্রাথমিক আলোচনা ছিল। মিরপুর সড়কের সব মার্কেটের মালিকরা এ বিষয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারার বিষয়টি সামনে আসায় সর্ব সম্মতিক্রমে মিরপুর সড়কের ১২টি মার্কেট বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো হচ্ছেছ গাউছিয়া, চিশতিয়া, নিউ চিশতিয়া, ইসমাইল ম্যানশন, নূর ম্যানশন, ইস্টার্ন মল্লিকা, চাঁদনী চক, গোল্ডেন প্লাজা, গ্রিন স্মরণিকা, ধানমন্ডি হকার্স, প্রিয়াঙ্গন, নূরানী মার্কেট।

এর আগে জীবন ও জীবিকার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির করোনার মধ্যেই ঈদ উপলক্ষে দোকান খোলার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানায়। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক করে আগামীকাল রবিবার (১০ মে) থেকে রাজধানীসহ দেশের সব মার্কেট শপিংমল খোলার অনুমতি দেয় সরকার।

এদিকে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে, এই পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের পাশাপাশি নিজেদের নিরাপত্তা কীভাবে রক্ষার বিষয়ে সমাধান করতে না পারায় ঈদের আগে দোকান খোলার বিষয়ে একমত হতে পারেননি অনেক ব্যবসায়ী। ফলে মার্কেট ও শপিং মলগুলো না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশিরভাগ দোকান মালিক সমিতি। আর বসুন্ধরা শপিং মল ও যমুনা ফিউচার পার্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই দুটি মার্কেটের মালিকপক্ষ।

উল্লেখ্য, গত ৪ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকান ও শপিংমল ১০ মে থেকে খোলার কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। তবে বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ রোগের বিস্তাররোধ এবং পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার আগামী ৭ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি/জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা/সীমিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শর্তাদি বিবেচনা করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট, শপিংমলসহ অন্যান্য কার্যাবলী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে খুলে দিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হলো। তবে এক্ষেত্রে আন্তঃজেলা ও আন্তঃউপজেলা যোগাযোগ/চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টায় খুলবে এবং বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত সতর্কতা গ্রহণ করার কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে ক্রেতার নিজ এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, প্রত্যেক ক্রেতাকে নিজ পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স) ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে হবে। ঢাকা মহানগরীতে শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখার বিষয়ে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ