আজকের শিরোনাম :

কমছে না চালের দাম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২০, ১০:১৮

করোনা আতঙ্ককে পুঁজি করে রাজধানীর বাজারে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে চালের দাম। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, করোনা আতঙ্ককে পুঁজি করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন।

আর খুচরা ব্যবসায়ীরা দুষছেন মিল মালিকদের। তারা বলছেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে পরিবহন ও শ্রমিক সংকটের কারণ দেখিয়ে মিলাররাই চালের সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন। অন্যদিকে মিলাররা বলছেন, চালের কোন সংকট নেই। এই কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে ব্যবসায়ীরাই।

এদিকে রাজধানীর কাওরান বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে , বাজারে চালের কোন সংকট নেই, সংকট মূলত ক্রেতার। ইতিমধ্যেই ক্রেতা সংকটের কারণে কাওরান বাজারের অধিকাংশ চাল ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান বন্ধ করে বাসায় অবসর সময় পার করছেন।

কাওরান বাজারের বাদশা রাইস এজেন্সির সত্ত্বাধিকারী হেলাল হোসাইন মুন্না জানান, গত তিনদিন যাবত তিনি দোকান বন্ধ করে বাসায় বসে আছেন।

মুন্না বলেন, করোনা আতঙ্কে অনেক ক্রেতারাই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চাল ক্রয় করেছেন। যার দরকার ১ বস্তা সে নিয়েছেন ৪-৫ বস্তা। সেইসব ক্রেতারা এখন বাজারে আসছেন না। এতেও বাজারে চালের কিছুটা সংকট তৈরি করেছে। সেইসঙ্গে ক্রেতারও সংকট তৈরি হয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়িয়েছেন। এখন বাজারে আসছেন শুধু কিছু নিম্ন আয়ের মানুষ। তারাই এখন ভুক্তভোগী। বাজারে মাত্র ৫-৬ টি ছোটখাটো দোকান ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ রয়েছে।

রাজধানীর খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন করে দাম না বাড়লেও ইতিমধ্যেই কয়েক দফা বেড়েছে চালের দাম। মানভেদে প্রতি কেজি চালে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) তাদের দৈনন্দিন বাজারদরের তালিকায় এই দাম বাড়ার তথ্য তুলে ধরেছে। দাম বেড়ে প্রতি কেজি নাজিরশাইল/মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম/লতা ৫০ থেকে ৫৬ টাকা এবং ইরি/স্বর্ণা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ