৬২ হাজার কোটি টাকার বিদেশি সহায়তা আসছে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:১২
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেছেন, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিই (আরএডিপি) মূল উন্নয়ন বাজেট। প্রধানমন্ত্রীর নিবিড় তদারকির কারণে এ বছর ৬২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিমাণ বিদেশি সহায়তা আসছে আরএডিপিতে।
আজ বুধবার শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে নাজিয়া সালমা কনফারেন্স রুমে ‘ইফেকটিভ পার্টনারশিপ উইথ মিডিয়া ফর সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
ইআরডি সচিব বলেন, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বেড়েছে। এখন বাংলাদেশকে সবাই ঋণ দিতে চায়। আমাদের সরকারপ্রধানের নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে ২০২১ সালের মধ্যে যে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে, তা বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই অর্জন করেছে। শর্তগুলো হলো- ১. মাথাপিছু আয় ১২৪২ মার্কিন ডলার; বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার মার্কিন ডলার। ২. দেশের ৬৬ শতাংশ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়া; বাংলাদেশ এটি ৭০ শতাংশে উন্নীত করেছে। ৩. অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর না হওয়ার মাত্রা ৩০ শতাংশের নিচে থাকা; বাংলাদেশে তা ২৫ শতাংশ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করবে জাতিসংঘের ইকোনমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিল। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
তিনি আরো বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করতে হবে। সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এই দেশ সবার। সবার উচিত, সরকারপ্রধানকে সহযোগিতা করা। পাইপ লাইনে অনেক টাকা আছে, এটা উন্নয়নের জন্য ভালো। বৈদেশিক সহায়তা কমেনি, বরং বেড়েই চলেছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে মনোয়ার আহমেদ বলেন, আমাদের সরকারপ্রধান সব সময় মনিটারিং করেন। মেগা প্রকল্পগুলো সরাসরি তিনি দেখভাল করেন শত ব্যস্ততার মধ্যেও। ২০০৯ সালে যেখানে বৈদেশিক সহায়তা ৩ বিলিয়ন ডলার ছিল, বর্তমানে তা ৭ বিলিয়ন ডলার ক্রস করেছে।
ইআরডি সচিব হিসেবে শেষ কর্মদিবসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মনোয়ার আহমেদ বলেন, সবাইকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। এমনভাবে রিপোর্ট করতে হবে, যেন দেশের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে উজ্জ্বল হয়। কারণ, একটা ভুল রিপোর্টে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে। সঠিক ও নির্ভুল রিপোর্টিংয়ের জন্য ইআরডি সব সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ’ (ডিজেএফবি) এর জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করে ইআরডি।
কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইআরডির সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম, যুগ্ম সচিব আব্দুল বাকি, ডিজেএফবির সভাপতি হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান প্রমুখ।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ