আজকের শিরোনাম :

করোনাভাইরাস: বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিতে স্থবিরতার আশঙ্কা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:০৩

সহসা উন্নতি দেখা যাচ্ছে না চীনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বজুড়ে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কারণে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগও কমছে। নতুন করে শিপমেন্টও বন্ধ। যার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেও।

বাংলাদেশের মোট আমদানি পণ্যের প্রায় ২৬ শতাংশই আসে চীন থেকে। যার মধ্যে রয়েছে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর উপকরণসহ শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি। আর রপ্তানিমুখী বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামালের প্রায় ৭০ শতাংশ আসে চীন থেকে। তাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে দেখা দেবে কাঁচামাল সংকট, যার প্রভাব পড়বে রপ্তানি বাণিজ্যে। কাঁচামাল সংকটে দেশের ৮০ শতাংশ গার্মেন্টস কারখানা বন্ধের আশঙ্কা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালক, ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস. এম. আবু তৈয়ব।

শুধু পণ্য আমদানিই নয়, বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। করোনা সংক্রমণের শুরুতে জাহাজীকরণের পর চীনের বন্দরে আটকে আছে বিভিন্ন পণ্য। আবার বাংলাদেশেও রফতানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে বিপুল পরিমাণ পণ্য। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে চীনে প্রায় ৩শ ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। যা থেকে বছরে আয় হয় প্রায় ৫ কোটি ডলার। প্রথমে চীনা নববর্ষ ও পরে করোনা ভাইরাসের কারণে জানুয়ারি থেকে ঋণপত্র খোলা এক প্রকার বন্ধ বলে জানান চীনে মাছ রপ্তানিকারক সৌমেন্দু বসু।


করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কমে গেছে চীন থেকে পণ্যবাহী জাহাজের সংখ্যা। চট্টগ্রাম বন্দরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পণ্যবাহী জাহাজের বেশিরভাগই চীনের। প্রতিমাসে চারটি শিপিং লেনে ১৯টি জাহাজ সরাসরি চীন থেকে আসে। আর চীন থেকে সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসা যাওয়া করে ৭০টি জাহাজ। চলতি মাসে এসেছে এ পর্যন্ত এসেছে মাত্র দু’টি জাহাজ। এতে কমেছে পণ্যবাহী কন্টেইনারের পরিমাণও। আর যে দু’টি জাহাজ এসেছে সেগুলো মূলত ডিসেম্বর বা তার আগে ঋণপত্র খোলা হয়েছিলো।

আবার করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে চীন থেকে আসা জাহাজগুলোকে যাত্রা শুরু থেকে ১৪ দিন অতিবাহিত না হলে বন্দরে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কমপক্ষে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পরই বন্দরের প্রধান জেটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্যদেশ থেকে আসা জাহাজগুলোর ক্ষেত্রে বন্দরে প্রবেশের আগে নাবিক এবং ক্রুদের শারীরিক তথ্য তাদের শিপিং এজেন্টকে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হচ্ছে।

সার্বিক পরিস্থিতিতে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা। সহসা করোনাভাইরাস সংকট না কাটলে দেশের আমদানি-রপ্তানিখাতে চড়া মূল্য দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ