আজকের শিরোনাম :

বাণিজ্যমেলায় ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ভ্যাট আয়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৩০

চলতি বছর আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকার ভ্যাট রাজস্ব আয় হয়েছে। এবার মেলায় অধিকাংশ পণ্যে খুচরা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল।

এবারের মেলায় ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট থেকে আটটি টিম নজরদারি করে। নতুন ভ্যাট আইনের পরিপালন নিশ্চিত করতে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়। এদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তা আদায় করা হয়েছে।

ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার ড. মইনুল খান বাসসকে বলেন, এবার মেলায় স্টলের সংখ্যা ও দর্শনার্থীদের সংখ্যা গতবারের তুলনায় কম থাকায় ভ্যাট আহরণ কিছুটা কম হয়েছে। তবে নজরদারি বাড়ানোয় ভ্যাট ফাঁকি যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে।

তিনি জানান, এ বছর স্টলের সংখ্যা ছিল ৪৮৭, যা আগের বছর ছিল ৫৬৯টি। অন্যদিকে চলতি বছরের দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখ।

এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চলতি বছরের মেলায় কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কেবল ৫ শতাংশ ট্রেড ভ্যাট আদায়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এতে কেবল হাতিল ফার্নিচার থেকে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা কম আহরণ হয়েছে। গত বছর ভ্যাটের এই হার ছিল ১৫ শতাংশ।

গত বছর মেলায় ভ্যাট আহরণের পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ২ লাখ টাকা।

মইনুল খান জানান, এবার বাণিজ্যমেলায় অংশগ্রহণকারি ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা দেয়া হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই সম্মাননা ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেয়া হবে।

সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা নির্বাচিত হয়েছে ওয়াল্টন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এর পর রয়েছে এসকোয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড ও সারাহ লাইফ স্টাইল লিমিটেড। এই তিন প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার, ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার ও ৩২ লাখ ৫ হাজার টাকার ভ্যাট পরিশোধ করেছে।

মেলার অন্যান্য যারা সম্মাননা পাবে- র‌্যাংকস ইলেকট্রনিক লিমিটেড, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড, মাল্টি লাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ফিট এলিগেন্স লিমিটেড, নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড এবং বঙ্গ বেকারস লিমিটেড।

এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তিন দিন পূর্ণ কর্মদিবস এবং আরও তিন দিন অর্ধ কর্মদিবস মেলা বন্ধ ছিল।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ