আজকের শিরোনাম :

রাষ্ট্রায়ত্ত আমানতের অর্থ ৬ শতাংশ হারে সুদ নিতে পারবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০১৮, ২২:৪৩ | আপডেট : ০২ জুলাই ২০১৮, ২৩:১০

ঢাকা, ০২ জুলাই, এবিনিউজ : এখন থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত আমানতের অর্থ ৬ শতাংশ হারে সুদ নিতে পারবে বেরকারি ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ দেশের সরকারি ব্যাংকগুলো ৬ শতাংশ সুদে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে আমানত সরবরাহ করবে।

সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এমডিদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা রাজী হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে সোনালী ব্যাংকের এমডি ওবায়েদ উল্লা আল মাসুদও সাংবাদিকদের একই তথ্য জানান।

সূত্র জানায়, বৈঠকে আমানত ও ঋণের সুদের হার ছাড়াও আসন্ন মুদ্রা নীতি, ব্যাংকের এডিআর, বেসরকারি খাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ, খেলাপি ঋণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে কম সুদে সরকারি ব্যাংকের আমানত পাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল বেসরকারি ব্যাংকগুলো।

গত ২৫ জুন এবিবি নেতারা সরকারি ব্যাংক এবং বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের আমানত ৬ শতাংশের কম সুদে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সোমবারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তাদের সেই দাবি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পড়ে থাকা অলস টাকা (বিভিন্ন বন্ডে রাখা স্বল্প সুদের বিনিয়োগ) এবং বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের আমানত ৬ শতাংশ পাচ্ছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো।

ঋণের সুদ হার কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে ব্যাংকার্সদের সংগঠন এবিবির নেতারাসহ সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এমডিরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজী হাসান বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলো এখন থেকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে ৬ শতাংশ হারে আমানত দিতে রাজি হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই-একটি ব্যাংক ৬ শতাংশ সুদে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে আমানত দেয়া শুরু করেছে। বাকিগুলো তাদের বোর্ড বৈঠক করে শিগগিরই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে বলে জানিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ব্যাংকগুলো সিঙ্গেল ডিজেট সুদের হার বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত সহায়তা চেয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, আপনারা আগে এটি বাস্তবায়ন করে আসুন। আমরা প্রয়োজনে বাকি বিষয়গুলো দেখব।

ঋণের সুদ হার বিষয়ে এবিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঋণের সুদ হার নির্ধারণের বিষয়টি ব্যাংকগুলো যেন নিজেরাই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় তা বলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এই শিল্পের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেটি বলেছে সংস্থাটি।

তিনি বলেন, ব্যাংকের উদ্যেক্তারা আমানত ও ঋণে সুদের হার নির্ধারণ করে দিয়েছে। ফলে এটা বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো ধরনের সংশয় নেই। এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বৈঠক করেছি। আর এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত সহায়তা চেয়েছি।

ঋণ-আমানত অনুপাতের (এডিআর) সময়সীমার বিষয়ে তিনি বলেন, সব ব্যাংক তো সমান হারে ডিপোজিট নাও দিতে পারে। যদি কোনো ব্যাংকের অনাকাঙ্খিতভাবে আমানতের ৮৫ শতাংশের উপরে ঋণ বিতরণে চলে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে যেন ওইসব ব্যাংকের উপর চাপ দেয়া না হয় সে বিসয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।

ঋণে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার কার্যক্রম ঢাকা ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক এরই মধ্যে বাস্তবায়ন শুরু করেছে জানিয়ে মাহবুবুবর রহমান বলেন, ঢাকা ব্যাংক সব খাতেই ৯ শতাংশ হার সুদে ঋণ দিচ্ছে। অন্য ব্যাংকগুলো কিভাবে এটা বাস্তবায়ন করছে বা করবে— সেটা তাদের বিষয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যাংকের নিজস্ব পলিসি থাকতে পারে। কোনো ব্যাংক চাইলে সুদের হার নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে আরো কমও নিতে পারে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ