মুজিব বর্ষে সাড়ে ৭ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানো হবে : প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

  বাসস

০৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:০৯ | অনলাইন সংস্করণ

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেছেন, মুজিব বর্ষে বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ৭ লাখ কর্মী বিদেশে প্রেরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুজিব বর্ষের আহবান দক্ষ হয়ে বিদেশ যান এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নতুন নতুন দেশের শ্রম বাজারে দক্ষ কর্মী প্রেরণ করা হবে।

আজ রোববার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রিপোর্টাস ফর বাংলাদেশী মাইগ্রেন্টস আয়োজিত ‘নতুন বছরে সরকারের শ্রম বাজার পরিকল্পনা’ শীর্ষক মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা ও অতিরিক্ত সচিব আহমেদ মনিরুস সালেহীন, আরবিএম সভাপতি ফিরোজ মান্না ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক বক্তব্য রাখেন। এ সময় মন্ত্রণালয় অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইরাক তথা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনায় সেখানকার প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, যেখানে প্রবাসী শ্রমিক থাকে তাদেরকে সে দেশের লোকাল সরকার প্রোটেকশন দেয়। তারপরেও আমাদের একটা এসকেপ প্ল্যান থাকা উচিত। আগামীকাল সোমবার আমরা পররাষ্ট্র সচিবের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবো।

মন্ত্রী বলেন, কম্বোডিয়া, সিশেলস, হারজেগোবিনা, রোমানিয়া, হাঙ্গেরী, পোল্যান্ড ও চীন ইত্যাদিতে কর্মী প্রেরণ শুরু করা হয়েছে। এ বছর আরো বেশী নতুন নতুন দেশে কর্মী প্রেরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব অমিরাতে বন্ধ বাজার খোলার জন্য সফল উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা জানান, ২০১৯ সালে ৭ লাখ ১ হাজার কর্মী বিদেশ গিয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার নারী কর্মী বিদেশ গিয়েছেন। নারী কর্মীদের ৫০ ভাগ বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা।

তিনি বলেন, অভিযোগ ও অনিয়মের কারণে ২১৪টির মধ্যে ১৭২টি অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১টি বাতিল করা হয়েছে। ২টি স্থগিত করা হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রবাসীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। যা ২০১৮ সালের তুলনায় ১৬ দশমিক ২ ভাগেরও বেশি। সরকার শতকরা ২ ভাগ প্রণোদনা ঘোষণা করায় এর পরিমাণ চলতি বছর ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

মন্ত্রী বলেন, সরকার এক লাখ ড্রাইভারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশ প্রেরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। ৪১টি উপজেলায় দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ৬০টি উপজেলায় আরো ৬০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ