আজকের শিরোনাম :

দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কোনো দৃষ্টান্ত নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:৪১

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না। বরং তারা শান্তি এবং সম্প্রীতির সাথে বসবাস করছেন। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

সোমবার ভারতের পার্লামেন্টে দাবি করা হয় যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন না-থামাটাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনার অন্যতম কারণ।

এর প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলতেই পারি যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা এখন খুব ভালো। আগে যারা বিদেশে চলে গিয়েছিলেন, তারাও এখন ফিরে আসছেন।’

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বক্তব্য দিয়ে থাকেন তা হলে তা ঠিক না বলেও মনে করেন এ কে আব্দুল মোমেন।

বিল সম্পর্কে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারতেরা কী করলেন সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেটা তারা তারা জানেন। তবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা খুব শান্তি এবং সম্প্রীতিতে আছেন।’

সোমবার লোকসভায় এ বিল পেশ করতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশ-সহ তিনটি প্রতিবেশী দেশের সংবিধানকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, এই দেশগুলোর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলেই সেখানে অন্য ধর্মের মানুষরা নিপীড়িত হচ্ছেন।

বিলটি লোকসভায় পাস হয়ে গেছে সোমবারই। মঙ্গলবার এটি রাজ্যসভায় উঠবে।

শাহ লোকসভায় বলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যেই বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলটি আনা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ার কারণে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ ঠিক নয়। এখানে সব ধর্মের মানুষেরাই তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বিনা বাধায় উদযাপন করে থাকে বলেও জানান তিনি।

মোমেন বলেন, ‘এ দেশের নিয়ম হচ্ছে, ধর্ম নিজের নিজের, কিন্তু উৎসব সকলের। আমরা এই নীতিতেই বিশ্বাস করি। আমাদের দেশে নির্যাতনের কোনো দৃষ্টান্ত নেই।’

বরং ভারতের সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানা যায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে কূটনৈতিকভাবে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন ‘শ্রেষ্ঠ সময়’ বা ‘সোনালি অধ্যায়ে’র মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের নেতারা প্রায়ই দাবি করে থাকেন।

অমিত শাহের এমন বক্তব্যের পর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, তিনি আশা করেন যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।

এই সম্পর্ক নষ্ট করতে ভারতের পক্ষ থেকে কোন ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মোমেন বলেন, ‘বন্ধুপ্রতিম ভারত এমন কিছু করবে না, যা উভয় দেশের জনগণের দুশ্চিন্তার কারণ হয় কিংবা আতঙ্কের সৃষ্টি করে।’

তবে অমিত শাহের বক্তব্যের প্রতিবাদে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, কী সব কারণে অমিত শাহ এগুলো বলেছেন তা উনাকেই জিজ্ঞাসা করতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখনো বিলটি দেখিনি, দেখতে হবে।’
খবর বিবিসি বাংলা

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ