আজকের শিরোনাম :

ফের আগারগাঁওয়ে বাণিজ্যমেলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০৮

‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০’ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে। এবারের মেলাটিও অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে। এ মেলাকে দৃষ্টিনন্দন করতে প্রধান গেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ছোঁয়া থাকবে। এবারই প্রথম মেলার প্রধান গেট ও বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করবে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

শুধু তাই নয়, মেলার বিভিন্ন প্রান্তে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিসহ দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হবে। এক কথায় ২৫তম বাণিজ্যমেলা হবে বঙ্গবন্ধুময়।

তবে বাণিজ্য মেলায় নান্দনিকতা বাড়লেও কমেছে স্টল সংখ্যা। এ বছর মেলার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে নির্দিষ্ট সময়ে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় ফের দরপত্র আহ্বান করা হয়। তবে দেশীয় ব্যবসায়ীদের তুলনায় আগ্রহ বেড়েছে বিদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী জানান, পূর্বাচলের স্থায়ী জায়গা প্রস্তুত না হওয়ায় এবারও আগারগাঁওয়ে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মেলাকে আরও দৃষ্টিনন্দন করতে এর প্রধান গেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ছোঁয়া থাকবে। এবারই প্রথম মেলার প্রধান গেট ও বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করবে গণপূর্ত অধিদপ্তর। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন আয়োজনসহ এবারও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন থিম থাকবে মেলাজুড়ে।

তিনি আরও বলেন, এবার বাণিজ্যমেলায় স্টল সংখ্যা কমেছে। এখন পর্যন্ত মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৪৪১টি। গতবছর স্টল সংখ্যা ছিল ৫৫০টি। সবচেয়ে বেশি কমেছে সাধারণ স্টল। গতবছর আমাদের ২৫০টি সাধারণ স্টল থাকলেও এ বছর সেখানে ৫০টি স্টল করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৩৩টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিদেশি ২৬টি প্যাভিলিয়নের বিপরীতে আবেদন পড়ে ৫৫টি। এখনও যাচাই-বাছাই চলছে। এ পর্যন্ত চারটি ব্যাংক মেলায় বুথ ও ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, মেলাকে কেন্দ্র করে যানজট নিরসনে এরইমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণের ধুলা কমাতে এবারও তিন বেলা করে পানি ছিটানো হবে।

ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় অব্যবস্থাপনারোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করবেন। এছাড়া থাকছে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা। মেলার ভেতরে দর্শনার্থীদের জন্য খোলামেলা জায়গা থাকছে, যাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাঘুরি করতে পারেন। আর মেলার দুই প্রান্তে দুটি শিশুপার্ক, দুটি দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা, একটি ইকোপার্ক, একটি মা ও শিশু কেন্দ্র, একটি বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন এবং একটি ইপিবির তথ্য সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। থাকছে ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার (ডিজিটাল টাচ স্ক্রিন প্রযুক্তি), যার মাধ্যমে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা নির্দিষ্ট স্টল ও প্যাভিলিয়ন খুব সহজে খুঁজে বের করতে পারেন।

বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ২৮টি বিভিন্ন দেশের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে রয়েছে—ভারত, পাকিস্তান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ভুটান, নেপাল, মরিশাস, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, জাপান, ইতালি, দুবাই, ডেনমার্ক, নিউজল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ব্রাজিল, ফিলপিনস, রাশিয়া, আমেরিকা, জার্মানি, তাইওয়ান ও হংকং।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, মাসব্যাপী অনুষ্ঠেয় এই মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রাপ্ত বয়স্কদের মেলায় প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। গতবারের মতো এবারও মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে। প্রতি বছরের মতো এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে থাকছে বাণিজ্য মেলার আয়োজনে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ