দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে বগুড়ার শীতকালীন সবজি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৫১
বগুড়ায় শীতকালীন আগাম জাতের প্রায় সব ধরনের সবজি এখন বাজারে। শুরুতে দাম বেশি হলেও চলতি সপ্তাহে এসব সবজির দাম কমে এসেছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বগুড়ার সবজি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। বগুড়ার মহাস্থান হাট থেকে অর্ধশত ট্রাক যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
আগাম জাতের সবজি চাষে ভালো দাম মেলে। তাই এ অঞ্চলের চাষিরা সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে অনেক আগে থেকেই। তবে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দাম কিছু কমে আসে বলে চাষিরা জানান। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে মহাস্থান হাটে দেখা যায়, নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা বস্তায় ভরছে সবজি। সেগুলো আবার ট্রাকে তুলছে শ্রমিকরা। এ সময় শাখারিয়ার আব্দুল হাই, লাহিড়ীপাড়ার মোজাম্মেল জানালেন, এবারও তারা ভালোভাবে সবজির আবাদ করেছেন। এ কারণেই শীতের আগাম সবজি তারা বাজারে নিয়ে আসতে পারছেন।
শহরের মালগ্রাম থেকে আসা সবজি ক্রেতা লিটন রহমান জানান, শীতের সবজি একটু বেশি দাম হলেও কিনতে এসেছি। এখন সবাই সবজি পছন্দ করে। নতুন সবজি বাজারে এসেছে। দামও কিছুটা বেশি তবে স্বাদ ভালো বলে শীতকালীন আগাম সবজি কিনেছি।
মহাস্থান হাটের পাইকার আমজাদ হোসেন, গোলাম মোস্তফা জানান, ব্যাপারিরা প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত ট্রাকে করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে মহাস্থানের সবজি। আগাম জাতের সবজি আসার শুরুতে ট্রাকের পরিমাণ ছিল ২০ থেকে ২৫টি, তবে সবজির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ট্রাকের পরিমাণও বেড়েছে। এ হাট থেকে সবজি কিনে তারা দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করার পাশাপাশি খুচরা বিক্রি করে থাকেন।
সবজি ব্যবসায়ী মিলন আলী জানান, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, সিলেট অঞ্চলের বাজারে যাচ্ছে বগুড়ার সবজি। প্রতি কেজিতে তাদের খরচ পড়ে সাত থেকে আট টাকা। এক ট্রাকে পনের হাজার কেজি পর্যন্ত তারা সবজি পাঠান। ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সবজি তারা পাঠাবেন। এখন ফুলকপি, পাতাকপি, মুলা এবং লাউ পাঠানো হচ্ছে।
মিলন মিয়া জানালেন, রাজধানীতে দাগওয়ালা বা সাইজে ছোট মুলা, কপি নিতে চায় না। তাই বাছাই করে ঢাকায় পাঠানো হয়। তবে অন্য জেলার জন্য অত বাছাই করতে হয় না। বুধবার হাট বার হওয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ হাটের বেচা-কেনা। গত সপ্তাহে ১৮শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া ফুলকপি এখন ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা প্রতি মন, ১ হাজার থেকে ১২শ টাকার মুলা এখন ৬শ থেকে ৯শ টাকা প্রতি মন। প্রতি কেজি সিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হলেও তা এখন ৮০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকা, পাতাকপি ১৫ থেকে ২৫ টাকা পিচ বিক্রি হচ্ছে পাইকারী বাজারে। তবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সবজির দাম ৫ থেকে ২০ টাকায় ২ বেশিতে বিক্রি হয়।
রাজাবাজার আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, তাদের বাজারে নিয়মিত মনিটরিং করা হয়। এ কারণে এখানে কেউ বেশি দামে বিক্রি করতে পারে না। এদিকে মহাস্থানে হাটের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু। এ কারণে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যাও বেড়েছে। সবজির দাম কম বাড়া প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ বলেন, বাজার মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি
আগাম জাতের সবজি চাষে ভালো দাম মেলে। তাই এ অঞ্চলের চাষিরা সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে অনেক আগে থেকেই। তবে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দাম কিছু কমে আসে বলে চাষিরা জানান। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে মহাস্থান হাটে দেখা যায়, নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা বস্তায় ভরছে সবজি। সেগুলো আবার ট্রাকে তুলছে শ্রমিকরা। এ সময় শাখারিয়ার আব্দুল হাই, লাহিড়ীপাড়ার মোজাম্মেল জানালেন, এবারও তারা ভালোভাবে সবজির আবাদ করেছেন। এ কারণেই শীতের আগাম সবজি তারা বাজারে নিয়ে আসতে পারছেন।
রাজাবাজার আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, তাদের বাজারে নিয়মিত মনিটরিং করা হয়। এ কারণে এখানে কেউ বেশি দামে বিক্রি করতে পারে না। এদিকে মহাস্থানে হাটের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু। এ কারণে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যাও বেড়েছে। সবজির দাম কম বাড়া প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ বলেন, বাজার মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি
এই বিভাগের আরো সংবাদ