আজকের শিরোনাম :

দাম বেড়েছে ছুরি-চাপাতির

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০১৯, ০১:১৪

প্রতিবছর কুরবানির ঈদ আসার আগে চাপাতি ও ছুরির দাম বেড়ে যায়। গতবছরের তুলনায় চলতি বছর এই জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। আর এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। তারা বলছেন, বছরের এই সময়টা এলেই নানা বিক্রেতারা নানা অজুহাতে ছুরি-চাপাতির দাম বাড়িয়ে দেওয়া  হয়।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচামালের দাম বাড়ায় এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।   

রাজধানীর কাওরান বাজারের কামারপট্টিতে গিয়ে শনিবার (১০ আগস্ট) ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।  

গতবছর কোরবানির ঈদের তুলনায় এই বছর প্রতিকেজি লোহায় কামারেরা ২০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পুরনো ছুরি চাকু ধার দিতেও তারা অস্বাভাবিক দাম চাইছেন বলে ক্রেতারা জানান।

দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে এক বিক্রেতা বলেন, আগের তুলনায় প্রতিকেজি লোহার দাম ১০০ টাকা বেড়েছে। আর অস্বাভাবিকভাবে কয়লার দামও বেড়েছে। আগে যে কয়লা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা বস্তায় কিনে আনতাম। সেটি এখন হাজার ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা আনতে হয়। তারপরও কয়লার মান ভালো না। আর বছরের সময়টায় একটু বেচা-কেনা হয় বলে আমরা ব্যবসা করে টিকে আছি ।

আর যেহেতু মানুষ সারা বছর এগুলো কেনেন না, তাই তাদের কাছে সামান্য দাম বাড়াটাকে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সরিজমিনে দেখা গেছে, কাঁচা লোহা দিয়ে তৈরি চাপাতি ৩০০ টাকা এবং পাকা লোহা দিয়ে তৈরি চাপাতি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট ছুরি ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরু জবাইয়ের ছুরি প্রতি পিস ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা এবং খাসি জবাইয়ের ছুরি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাওরান বাজার কামারপট্টি ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, কয়লার দাম বৃদ্ধি ও কর্মচারী বেতন বোনাসের কারণে জিনিসপত্রের দাম তো বাড়ছে। তবে এ দাম তুলনামূলকভাবে কম।

তবে দাম একটু বেশি হলেও আমাদের তৈরি জিনিসগুলো মান অত্যন্ত ভালো বলে জানান তিনি। বলেন, এগুলো একবার কিনলে আট থেকে দশ বছর ব্যবহার করা যায়। কিন্তু চায়না জিনিস কিনলে তা ওয়ান টাইম ব্যবহার হবে এবং এটির মান তেমন ভালো নয় তাই ভালো জিনিস পেতে হলে একটু দাম বেশি হওয়াই স্বাভাবিক।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ