পুঁজিবাজারটি এখন নিয়ন্ত্রণে নেই: অর্থমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৪০
দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে নেই বলে স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পুঁজিবাজারের বিষয় সরকার অত্যন্ত যত্নশীল উল্লেখ করে তিনি আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের আহসানুল হক টিটুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ স্বীকারোক্তি দেন।
কোনও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার বিষয়টির প্রথম প্রতিফলন পুঁজিবাজারে দেখা যায় মন্তব্য করে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত চাঙ্গা ও শক্তিশালী। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএমএফ আমাদের অর্থনীতি দেখে উচ্ছ্বসিত। তারা অন্যান্য দেশকে বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে বলেছে। আমাদের এই এগিয়ে যাওয়া থমকে যাবে যদি পুঁজিবাজারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারি।’
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারটি এখন নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেই, সেটাও বলবো না। পুঁজিবাজারের যেসব সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করেছি। একে একে সবগুলি সমস্যার সমাধান দেবো।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে যেমন যত্নশীল, ঠিক তেমনিভাবে পুঁজিবাজার নিয়েও ততটাই যত্নশীল।’
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্তদের নিয়ে আমি এক-দুই দফা মিটিং করেছি। আরও মিনিং করবো। মিটিং করে আর ১০টি দেশে পুঁজিবাজার যেভাবে চলে আমরাও সেইভাবে চালানোর চেষ্টা করবো। এ ক্ষেত্রে যেসব জায়গায় বিচ্যুতি আছে তা অবশ্যই দূর করা হবে। যেহেতু পুঁজিবাজার আর অর্থনীতি একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, কাজেই সঙ্গত কারণেই পুঁজিবাজারের জন্য আগামী বাজেটে প্রণোদনা থাকবে। তবে কতটা থাকবে তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। অবশ্যই পুঁজিবাজারকে শক্তিশালীভাবে চালানোর জন্য যা কিছু উপজীব্য, সেটাই করা হবে।’
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য লুৎফুনন্নেসা খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি ব্যাংকিং কমিশন করার বিষয়ে আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী মহোদয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই সংসদে বলেছিলেন। কিন্তু আমার বিশ্বাস, আমরা অতীতে অনেক কমিটি করেছি। অনেক কমিটি করেও আমরা কোনো দিনও কোনো কিছুর সুরাহা করতে পারিনি। এ ক্ষেত্রে আমরা যে কাজটি করতে শুরু করেছি, আমার বিশ্বাস, সমস্যাগুলো আমরা আইডেন্টিফাইড করতে পেরেছি।
সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভালো ঋণ গ্রহীতা এবং খারাপ ঋণ গ্রহীতা এক নয়। অনেকে সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় ব্যবসায়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে যায় অথবা ঋণ শোধ দিতে পারে না। আবার কেউ কেউ আছে যারা নিচ্ছেনই ঋণটা শোধ না করার জন্য। আমরা এরই মধ্যে কয়েকটি ফার্মকে দায়িত্ব দিয়েছি, শুধু এটা খুঁজে বের করার জন্য। যারা ভালো তারা উৎসাহিত হবে আর যারা খারাপ তারা আমাদের কাছে সহায়ক কোনো অবস্থান পাবে না।
তিনি আরও বলেন, ঋণ ব্যবস্থা নিয়ে অবশ্যই আমাদের ব্যবস্থার প্রয়োজন। আমাদের দেশে ঋণ নিলে প্রথমেই সুদের টাকা কাটে। প্রিন্সিপাল অব মানি এটা সারা জীবন থেকেই যায়। এই জিনিসগুলো আমরা কিন্তু হাত দেব। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ব্যাংকিং খাতে কোনো প্রকার সংস্কার আনা হয়নি। আমরা প্রথমবারের মতো উই আর কমিটেড এ বেসিক ফর্ম অব রিফর্মস ইন দ্য ব্যাংকিং সেক্টর।
এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর
এই বিভাগের আরো সংবাদ