আজকের শিরোনাম :

রিজার্ভ চুরির মামলা নিষ্পত্তি হবে ৩ বছরে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:২০ | আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:২৩

রিজার্ভ চুরির অর্থ ফিরিয়ে আনা, ক্ষ‌তিপূরণে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দায়ের করা মামলা নিষ্প‌ত্তিতে তিন বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আজমালুল হক কিউসি। আজ রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ চু‌রির মামলার বিষয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

আইনজীবী আজমাউল হক জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইর্য়কের (ফেড) সঙ্গে মামলার বিষয়ে চু‌ক্তি হয়েছে। তারা মামলার জন্য বি‌ভিন্ন ন‌থি, তথ্য সরবারহসহ সাক্ষী দেবে। ১০৩ পৃষ্ঠার মামলায় ১৫ জন বি‌শিষ্ট ব্য‌ক্তি সাতটি প্র‌তিষ্ঠানসহ ২৫ জন অজ্ঞাতনামা লোককে বিবা‌দী করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা পুরো অর্থ আমরা ফেরত পাবো। এ বিষয়ে আমাদের অনেক তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।’

এ সময় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, বিএফআইইউর পরামর্শক দেবপ্রসাব দেবনাথ, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত শুক্রবার ভোরে রিজার্ভ চুরির অর্থ ফিরিয়ে আনা, ক্ষতিপূরণের দাবিতে দোষীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা করেছে বাংলাদেশ।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়া পেমেন্ট অর্ডারের বিপরীতে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়।

এর মধ্যে শ্রীলংকায় যাওয়া দুই কোটি ডলার বিতরণ হওয়ার আগেই ফেরত পায় বাংলাদেশ।  আর ফিলিপাইনে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে দেশটির আদালতের নির্দেশে প্রায় দেড় কোটি ডলার ফেরত আসে। এর পর থেকে পুরো অর্থ ফেরত পাওয়ার দাবি জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন বাকি ছয় কোটি ৬০ লাখ ডলার ফেরত পাওয়ার জন্য মামলা করা হচ্ছে।

এসব অর্থের মধ্যে ১৪ মিলিয়ন ডলার ছাড়া বাকি অর্থের খোঁজ পাওয়া গেছে। যার বড় অংশই দেশটির আদালতের নির্দেশে ফ্রিজ হয়ে আছে।

 এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ